পরীক্ষা পেছানোই পেকুয়ার ১,৩৩৩ পরীক্ষার্থী চরম হতাশায়, অভিভাবকমহল ক্ষুব্ধ

 পেকুয়া প্রতিনিধি :

বিএনপির তথা ২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ ও ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডাক দেওয়ার কারণে ২০১৫ সালের এসএসসি, দাখিল এবং সমমান পরীক্ষা পিছিয়ে নেওয়ার কারণে পেকুয়ার ১,৩৩৩ জন পরীক্ষার্থী চরম হতাশায় ভুগছে। এ নিয়ে অভিভাবকমহলেও চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। ইতিপূর্বে যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করে ২ ফেব্রয়ারী পরীক্ষা গ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সকল বিভাগ ও জেলা উপজেলা পর্যায়ে পরীক্ষার সরঞ্জাম পৌঁছে দিয়েছে। কিন্তু পরীক্ষার হরতালের ফলে পরীক্ষা গ্রহণের নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে শিক্ষামন্ত্রী ২ ফেব্রয়ারীর পরীক্ষা ৬ ফেব্রয়ারী অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিলে পরীক্ষার্থীদের মাঝে নেমে আসে চরম হতাশা।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, এবার পেকুয়া জিএমসি ইনস্টিটিউশন কেন্দ্রে ৩৪৭ জন, পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩৮৪ জন এবং পেকুয়া আনোয়ারুল ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৬০২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় একদিকে ২টি স্কুল এবং একটি মাদ্রাসা কে পরীক্ষা কেন্দ্র করায় ওই স্কুল ও মাদ্রাসার অন্যান্য শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রয়েছে। যে কারণে একদিকে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না অপর দিকে অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার চরম ক্ষতি হচ্ছে।এসব নিয়ে অভিভাবকরা চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।

এদিকে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী হুমায়ন ও রেজা এ প্রতিবেদককে জানান, ২ ফেব্রয়ারী পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ওই দিনের পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু পরীক্ষাটি আবার ৬ তারিখে নিয়ে যাওয়ায় আবারও প্রস্তুতি নিতে হবে। এদিকে পেট্রোলবোমার আক্রমণের ও ভয় লাগে। যেখানে জীবনের নিরাপত্তা নেয় সেখানে কিভাবে পরীক্ষা দিতে যাব।

দাখিল পরীক্ষার্থী মকুল জানান, আমরা সবসময় আতঙ্ক অনুভাব করছি। কখন পরীক্ষা কেন্দ্রে পেট্রোল বোমার হামলা হয়। এদিকে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে নিরাপত্তা দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান। অপর দিকে অভিভাবকরা পরীক্ষা কেন্দ্রে তাদের ছেলে মেয়েদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান। তাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার চরম ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফ রশিদ খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পরীক্ষা সুষ্ঠভাবে গ্রহণ করতে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুত রয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রে নিরাপত্তা দিবে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী। এতে ভয়ের কোনো কারণ নেই

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন