পাকা ধানের খোঁজে খাগড়াছড়ির ‘নিউজিল্যান্ডে’ ঝাঁকে ঝাঁকে টিয়া

fec-image

খাগড়াছড়ি শহর থেকে চার কিলোমিটার দক্ষিণে আপার পেরাছড়ার গ্রামের দিকে এগোলে পানখাইয়া পাড়ার পাশে ‘নিউজিল্যান্ড’ সড়কে দেখা যাচ্ছে এমন দৃশ্য।

স্থানীয়দের ভাষ্য, আলুটিলা থেকে নিচে তাকালে ওই এলাকার দৃশ্য ‘নিউজিল্যান্ডের মত’ মনে হয়, সে কারণেই এমন নাম।

সড়কের দুই পাশে বিস্তীর্ণ ধানক্ষেতের আকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে টিয়া উড়ে বেড়াচ্ছে। প্রতিটি ঝাঁকে কয়েকশ টিয়া রয়েছে।

স্থানীয় কৃষক মংরে মারমা বলেন, “গত কয়েক বছর এত টিয়া দেখা যায়নি। এ বছর প্রচুর টিয়া আসছে।”
পাখির সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেক কৃষক রীতিমত পাহারা দিচ্ছেন।

ওই গ্রামের সাইথোয়াই মারমা বলেন, “সকাল ও বিকেলে টিয়ার ঝাঁক আসে। পাকা ধান খেতে ক্ষেতে আসে। ফসলের যাতে ক্ষতি না হয় সেজন্য পাহারা দিতে হয়। তার পরও টিয়া পাখি ধান খেয়ে ফেলে।”

তিনি বলেন, “কয়েক বছর পরপর এখানে প্রচুর টিয়া পাখি আসে। পাকা ধান খাওয়ার জন্য দলবেঁধে আসে তারা। এখানে মূলত ‘মদনা টিয়া’ এসছে। মদনা টিয়ার আকার কাকের মত। লম্বায় ৩৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। লালচে পেট বাদে প্রায় সারা দেহ সবুজ। কাঁধ হলুদ। মাথা ধূসর। চোখ হলুদ। বেগুনি নীল লেজের আগা হলদে। পুরুষ টিয়ার ওপরের চঞ্চু গাঢ় লাল।”

পাহাড়ের সবুজ বনে এদের প্রায়ই দেখা যায় বলে তিনি জানান।

খাগড়াছড়ির বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবির বলেন, সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসের দিকে পাকা ধানের খোঁজেই টিয়া পাখিরা ঝাঁক ধরে আসে। পৌষের মাঝামাঝি সময় পর্যণ্ত এদের দেখা মেলে। তারপর চলে যায়।

তিনি বলেন, “জেলায় সাম্প্রতিককালে পাখি শিকার বন্ধে বনবিভাগ সচেতনতা তৈরিসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এ কারণে খাগড়াছড়িতে প্রচুর টিকা অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে।”

সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন