পানছড়ির সাহসী বুলবুলি লোকালয়ে
পানছড়ি প্রতিনিধি:
রজনীকান্ত সেনের বাবুই আর চড়াই কবিতার কথাগুলো যখন বিলুপ্তির পথে ঠিক তখনই একটি বুলবুলি পাখি সেই হারিয়ে যাওয়া ছন্দগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়।
বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই, কুড়ে ঘরে থাকি করো শিল্পের বড়াই,
আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে, তুমি কত কষ্ট পাও রোদ বৃষ্টি ঝড়ে।
তবে বুলবুলি বলে কথা। খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলা সদরের উপজেলা প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেনের দরজার মুখেই এক সাহসী পাখি বাসা বেঁধেছে। যা বুলবুলি পাখি নামেই পরিচিত। একেতো লোকালয় অপরদিকে উপজেলার ব্যস্ততম এই অফিসে প্রতিনিয়ন শত শত লোকের চলাচল তারপরও মহাসুখে অট্টালিকায় দিব্যি আরামে পাখিটি বসে থাকে নিজ ঘরে। লোকজনকে এখন আর ভয় পায়না বুলবুলি।
কালোর মাঝে মাথায় ঝুটি লেজের কিছু অংশ লালচে বর্ণের বুলবুলির বাসায় দু’জন নতুন অতিথিও আসছে সহসাই। বাসায় সাদার মধ্যে হালকা কালচে বর্ণের দুটো ডিম তা দিচ্ছে নিয়মিত। তাই অনেকেই মজা করে বলছেন দু’জন অতিথির কথা।
সরেজমিনে গিয়ে প্রথমে সেই সাহসী পাখিটির দেখা মিলেনি। কিন্তু খড় ও লতাপাতা দিয়ে তৈরী মনোমুগ্ধকর বাসা এবং দুটো ডিমের নয়নাভিরাম চিত্র তাড়াতাড়ি ক্যামেরাবন্ধী করা হয়। এলজিইডি অফিসের অফিস সহায়ক জহিরুল আলম ও ইলেকট্টিশিয়ান মুনিয়া চাকমা জানান, পাখিটির খুব কাছে গেলেও ভয় পায়না। তাছাড়া শুধু খাওয়ার সময় ছাড়া বাকী সময়টুকু বাসায় বসে ডিম তা দিয়েই বুলবুলির সময় কাটে বলে তারা জানান। সমাজের মানুষের সহানুভুতিশীল সচেতনতাই বনের পক্ষীকুল ফিরে পেতে পারে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য ও নিরাপদ আবাসস্থল। তাতে আমাদের প্রকৃতিও ভরে উঠবে এক অপরূপ বৈচিত্রের লীলাভুমিতে।