পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের চাব্বিশ কিলোমিটার রাস্তায় তেতাল্লিশ স্পীড ব্রেকার

শাহজাহান কবির সাজু, পানছড়ি:

দীর্ঘ বৎসর পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কটি ছিল খানা-খন্দে ভরা। কোমর সমান কাঁদার মধ্যে গাড়ী চলাচলের দৃশ্য যাত্রী সাধারণের চোখে আজো যেন ক্যামরা বন্দী হয়ে আছে। প্রশাসনের সহযোগিতা আর যোগাযোগমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপে নিম্নমানের সামগ্রী আর নামে মাত্র ভিটুমিন দিয়ে কোন রকম যান চলাচলের উপযোগী করে তোলার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তাই যাত্রী সাধারণের স্বস্তির নি:শ্বাস বছর খানেক আরামে চলাচল করতে পারবে।

কিন্তু স্পীড ব্রেকার যন্ত্রনায় আবারো অতিষ্ঠ চলাচলকারীরা। এরই মাঝে হিসাব করে দেখা গেছে খাগড়াছড়ি টিউফা স্কুল থেকে পানছড়ি বাজার পর্যন্ত তেতাল্লিশটি স্পীড ব্রেকার। যা ছিল অপরিকল্পিত এবং সড়ক ও জনপথের গাফিলতি। তাই প্রতিনিয়ত গাড়ী চালক ও যাত্রী সাধারণের মাঝে চলছে বাকবিতন্ডা, হাতাহাতি, মারামারি। অথচ ড্রাইভারের কি করার আছে ?

তেতাল্লিশ বার ব্রেক কষতে হয় সামনে পেছনের চাকায় ৮৬ ঝাঁকুনি। সূতরাং কোন পরিবর্তন ঘটেনি পথচারীদের। সেই চাব্বিশ কিলোমিটার পথ আগের মতই সময় নিচ্ছে দেড় ঘন্টা। তাই পথচারীদের প্রশ্ন, আমরা আর কত দিন চলবো এই অবহেলিত পথটিতে। তাছাড়া এসব স্পীড ব্রেকার এলাকায় দূর্ঘটনায় পতিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনের নীরব ভুমিকা নিয়ে নানা মনে নানা প্রশ্ন। মৃত্যু ছাড়াও প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে ছোট-খাট দুর্ঘটনা।

অবহেলিত এই জনপদের পথচারীরা জরুরী ভিত্তিতে স্পীড ব্রেকার নির্মূলের প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন