পার্বত্য চট্টগ্রামে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সন্ত্রাস দমনে পর্যাপ্ত ক্ষমতা প্রদান করুন: পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন

তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে কর্মরত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে যথাযথ ও পর্যাপ্ত ক্ষমতা প্রদানে পার্বত্যবাসী জনগণের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাহাড়ে অবিরাম চাঁদাবাজি, অপহরণ, গুম, মুক্তিপণ ও হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে জনগণ সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে। বিশেষ করে গত ২৭ মার্চ রাঙ্গামাটিতে ২ লঞ্চ শ্রমিককে উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে অপহরণ এবং পরে লঞ্চ মালিকদের কাছে বিরাট অংকের চাঁদা আদায়ের ঘটনা এবং পরবর্তীতে রোববার ৩০ মার্চ রাঙ্গামাটিতে শ্রমিকদের সড়ক ও নৌপথ অবরোধ ডাক দেওয়ায় পাহাড়ের জনগণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

তিন পার্বত্য জেলার বৃহত্তম মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে পাহাড়ের উদ্বেগজনক ঘটনায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ঐক্য-শান্তি ও সম্প্রীতি স্থাপনে জোর দাবী জানানো হয়েছে এবং অবিলম্বে অপহৃত দুই শ্রমিককে মুক্তিদানে জোর দাবী জানানো হয়েছে। শনিবার ঢাকায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সমঅধিকার আন্দোলনের মহাসচিব মনিরুজ্জামান মনির, শীর্ষনেতা মোঃ জাহাঙ্গীর কামাল, এম.আনোয়ারুল উল্লাহ এবং হাজী মোঃ ইউনুস কমিশনার উক্ত দাবী জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, যে উদ্দেশ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, কতিপয় উপজাতিয় নেতার একগুয়েমী, হামবড়া এবং জুমল্যান্ড মনোভাবের কারণে সে উদ্দেশ্য পন্ড হতে চলেছে। পাহাড়ের জনগণ শান্তি চায় কিন্তু কতিপয় উপজাতীয় নেতা বিচ্ছিন্নতাবাদী উগ্র মানসিকতার মাধ্যমে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস চালিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মেরে চলেছে।

উপজাতীয় কতিপয় নেতার ইঙ্গিতে রাষ্ট্রবিরোধী সন্ত্রাসের মাধ্যমে একদিকে বাঙালিদেরকে পাহাড়ে পুজি বিনিয়োগ বসবাস ও ব্যবসা বাণিজ্যে নিরুৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে সন্ত্রাসীরা অল্প শ্রমে চাঁদাবাজির টাকা দিয়ে ক্রমশঃ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। জাতি পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের কবল থেকে এবং উপজাতীয় নেতাদের চক্রান্ত থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের মুক্তি চায়। সমঅধিকার আন্দোলন নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে রাষ্ট্রদ্রোহী সশস্ত্র সন্ত্রাস বন্ধ না করা হলে ৯ দফা দাবীতে আবারও তিন পার্বত্য জেলায় হরতাল অবরোধ সহ কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন।

♦ প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন