আনন্দ পাহাড়ে কারিগরি শিক্ষায় আলো ছড়াছে

khagrachari anondo pic 1 copy

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

পাহাড়ে আনন্দ’র ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার (ভিটিসি) কারিগরি শিক্ষায় আলো ছড়াছে। উঠতি বয়সি ঝড়ে পড়া তরুণ তরুণীদেরকে নিয়ে পাঁচটি ট্রেডে বিভিন্ন বিষয়ে কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তুলছে। গত ৮ বছরে আনন্দ’র ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার (ভিটিসি) থেকে নারী পুরুষ মিলে ৮শত প্রশিক্ষণার্থী এ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন সংস্থায় চাকরী করছে। এখানে রয়েছে নারীদের জন্য সেলাই প্রশিক্ষণ ও পুরুষদের জন্য রয়েছে ইলেক্ট্রিক্যাল, ইলেক্ট্রনিক্স, মেকানিক্যাল এবং ওয়েল্ডিং ট্রেডে প্রশিক্ষণ।

জানা গেছে, ৩ শত নারী ও ৫ শত পুরুষ এ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নানা ভাবে কাজ করে তারা আজ স্বাবলম্বী। এখানে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব আবাসন যেখানে নারী পুরুষদের জন্য আলাদা আলাদাভাবে স্বল্প খরচে থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা। দক্ষ প্রশিক্ষকদের নিপুন হাতে প্রশিক্ষণার্থীদের গড়ে তোলা হয়।

প্রত্যেকটি ট্রেডে ভর্তি হতে নাম মাত্র ফি নেওয়া হয়। বিশেষ করে যে সব ছেলে মেয়ে মা বাবার অবাধ্য, কিংবা পড়াশোনায় অমনোযোগি, গরিব, অসহায় এসব ছেলে মেয়েদেরকে এখানে অত্যন্ত যত্নসহকারে কারিগরি বিষয়গুলো হাতে কলমে শিখানো হয়।

বর্তমানে এখানে ছেলে মেয়েদের জন্য ছাত্র ছাত্রী নিবাস রয়েছে। ছাত্রী নিবাসের হল সুপারের দায়িত্বে থাকা সঞ্চিতা জানান, বর্তমানে তার হোস্টেলে মেয়ে ছাত্রী রয়েছে প্রায় ৩৫ জন। এদের পড়া শোনা থেকে শুরু করে সব কিছুই তিনি দেখভাল করেন। তিনি জানান, মেয়েরা অত্যান্ত আগ্রহভরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে।

ভোকেমনাল ট্রেনিং সেন্টারের মূল দায়িত্বে থাকা শ্যামল রজারিও জানান, পাহাড়ের অবহেলিত জনপদের ঝড়ে পড়া ছেলে মেয়েদের কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলা হয়। পরবর্তীতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ছেলে মেয়েরা তাদের দক্ষতা দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজে জড়িয়ে পড়ছে। এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে খাগড়াছড়ি পৌরসভায় কাজ করেছে মো. রবিউল, মো. ইকবাল হোসেন।

প্রশিক্ষণার্থীরা জানান, আনন্দ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আজ তারা চাকরি করছে পৌর সভায়। আনন্দ তাদেরকে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া আজ তাদের চোখ খোলে গেছে। তারা এখন আর বাবা মার অবাধ্য সন্তান নয়। নিজেরাই স্বাবলম্বী হয়ে তারা পরিবারের অর্থ যোগান দিচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন