পিকআপ চাপায় নিহত ৬ ভাইয়ের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের ঘর নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

fec-image

দেশজুড়ে আলোচিত কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ায় পিকআপ চাপায় নিহত ছয় ভাইয়ের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে সেমিপাঁকা আটটি ঘর। উপজেলা প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি মতে জমি-যাচাই করে ওই পরিবারকে স্থায়ী বাসযোগ্য হিসেবে থাকার এসব ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরের দিকে নিহতদের পরিবারের ঘর নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক ভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান। ঘর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো.রাহাত উজ জামান, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর, চিরিংগা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সেলিম উল্লাহ, সার্ভেয়ার, নিহতদের পরিবারের দূর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া প্লাবন শীলসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ায় উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দক্ষিণ পাশে ১৬ শতক সরকারি জমিতে পিকআপ চাপায় নিহত ছয় ভাইয়ের পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষথেকে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে। নিহতদের পরিবারের জন্য ওই ১৬ শতক জমিতে আটটি সেমিপাঁকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি ঘরে দুটি বেডরুম, বারান্দা, একটি বাথরুম ও একটি রান্না ঘর থাকবে। এসব ঘর নির্মাণের জন্য প্রতি ঘরের জন্য চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

ঘর নির্মাণ করার বিষয়ে জানতে চাইলে দূর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া নিহতদের ছোট ভাই প্লাবন শীল বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের বেশ কয়েকটি জমি দেখানো হয়। এসব জমি থেকে পরিবারের সকলের সাথে আলাপ করে এই জায়গাটি নির্ধারণ করা হয়েছে। এসময় কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, সরকার থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের এই ঋণ কখনও শোধ করতে পারবোনা।

এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, একটি পরিবারের ছয়জন লোক একসাথে সড়কে প্রাণ হারানোর ঘটনা খুবই নজিরবিহীন। তাদের এ ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া কারো পক্ষে সম্ভব না। তারপরও ঘটনার পর থেকে উপজেলা প্রশাসন ও সরকারের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে নিহতদের পরিবার যে জায়গার মধ্যে রয়েছে তা বনবিভাগের জায়গা। ডিসি স্যারের নির্দেশে তাদের স্থায়ী একটি জায়গায় পূর্ণবাসন করার জন্য নির্দেশ দেন। ডিসি স্যারের নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সম্মতিতে জায়গাটি নির্ধারন করা হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই ঘর নির্মাণের কাজ শেষ করে তাদের কাছে হস্তান্তর করতে পারবো।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন