পেকুয়ায় এইচএসসি পরীক্ষাথী কর্তৃক কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক টিমের সদস্যকে মারধর

নিজস্ব প্রতিনিধি,পেকুয়া:
পেকুয়ায় এইচ এস সি পরীক্ষার্থী কর্তৃক পর্যাবেক্ষক টিমের এক সদস্য কে মারধর করার ঘটনা ঘটছে। ঘটনাটি ঘটছে গত ৮ এপ্রিল দুপুর ২ টায় পেকুয়া চৌমুহুনী এলাকায়। বিক্ষুদ্ধ পরীক্ষার্থীদের ভাষ্য ৮ এপ্রিল ইংরেজী ১ম পত্র পরীক্ষায় শহীদ জিয়া বি এম আই কেন্দ্রে শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের এইচ এস সি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেয়। বোর্ড কর্তৃক নিযুক্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যাবেক্ষক টিমের সদস্য ও চকরিয়া সিটি কলেজের প্রভাষক সালাহউদ্দিন পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে এসে অন্যায়ভাবে হয়রানি করার অভিযোগে পরীক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে হামলা করছে বলে জানায়।

তারা জানায় তিনি পরীক্ষা চলাকালীন কোন পরীক্ষার্থীকে পানি পর্যন্ত পান করতে দেননি। যারা হল পরিদর্শকের অনুমতি নিয়ে বাথরুমে গেছে তাদের আর পরীক্ষার খাতায় লিখতে দেননি। প্রায় ৪০ জনের মতো পরীক্ষার্থীকে ৩০-৪০মিনিট পর্যন্ত সময়(বহিস্কার) টাইম এক্সপেল করেন। পরীক্ষার্থীরা অনুনয় বিননয় করেও ওই পর্যবেক্ষক টিমের সদস্যের হয়রানির হাত থেকে রেহাই পায়নি। হল পরিদর্শক ও কেন্দ্র সচিবরাও ওই পর্যবেক্ষক টিমের সদস্যের কাছে অসহায় ছিল বলে পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছে।

পরীক্ষার পর দুপুর দেড়টার দিকে পর্যবেক্ষক টীমের সদস্য সালাহ উদ্দিন চকরিয়ার উদ্যেশ্যে জিয়া কলেজ থেকে বের হলে ৬০/৭০জন উত্তেজিত পরীক্ষার্থী তাকে ধাওয়া করে মারধর করে রাস্তায় টানা হেছড়া করতে থাকে এভাবে প্রায় ৩০ মিনিটের মতো ওই পর্যবেক্ষককে গনধোলাই দিতে থাকে পরীক্ষার্থীরা। পরে খবর পেয়ে পেকুয়া জিয়া কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ওবায়দুর রহমান শিক্ষকদের নিয়ে পেকুয়া থানার পুলিশ ফোর্স নিয়ে পর্যবেক্ষক টীম সদস্য প্রভাষক সালাহউদ্দিনকে উদ্ধার করে চকরিয়া পৌছে দেন।

অসংখ্য পরীক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, এ যুগে কেউ নকল করেনা তিনি নকল বিষয়ক কোন আলমত পায়নি বলে একজন পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করতে পারেননি। কেউ না লিখে মানসিক প্রস্তুতি নিতে থাকলে তাকেও সময় এক্সপেল করে বসেন ওই পর্যবেক্ষক। তিনি বিশেষ কোন উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে পরীক্ষার্থীদের হয়রানি করেছে। উল্লেখ যে বিগত ২০১৩ সালের এইচ এস সি পরীক্ষা কেন্দ্রে ওই প্রভাষক ও পর্যাবেক্ষক টিমের সদস্য সালাহউদ্দিন দায়িত্ব পালন কালে শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজের মানবিক বিভাগের ছাত্রী ইয়াছমিন পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য একজন পরীক্ষার্থীর সাথে কথা বলার কারণে এক ঘন্টা সময় বহিস্কার করায় সে অপমান বোধ করায়  আত্মহত্যা করার জন্য এস আলম সার্ভিসের বাসের সাথে সাবেকগুলদি স্টেশনে ধাক্কা খেয়েছিল। কোন মতে বেঁচে গিয়েছিল তার প্রাণ। এমনই অভিযোগ রয়েছে ওই প্রভাষক ও পর্যাবেক্ষক টিমের সদস্য সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে জানতে পেকুয়া থানার ওসি হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কেন্দ্র সচিবসহ অন্যান্য শিক্ষকেরা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে কথা বলার জন্য তার মোবাইলে ফোন করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।  

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন