খাগড়াছড়ি পৌরসভায় ভোটের সমীকরণ, ফ্যাক্টর ইউপিডিএফ ও নতুন ভোটার

fec-image

প্রতীক বরাদ্দের পর খাগড়াছড়ি পৌরসভার নির্বাচনী মাঠ এখন সরগরম। প্রার্থীরা শো-ডাউন করেছেন। ছুটছেন ভোটারদের বাড়ি-বাড়ি। শহরে চলছে মাইকিং। কর্মী-সমর্থকরা ব্যস্ত পোস্টার-ব্যানার লাগানোর কাজে। অবশই প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিলের পরপরই গণসংযোগ করে যাচ্ছে। তবে সব কিছুর পরও প্রসীতের ইউপিডিএফ ও নতুন ভোটার সমীকরণ নিয়ে হিসেব কষছে প্রার্থীরা।

এদিকে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে শো-ডাউনের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। তবে খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা রাজু আহমেদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

খাগড়াছড়ি পৌরসভায় এবার মেয়র পদে প্রার্থীর সংখ্যা চারজন। বড় দুই দলের প্রার্থীর বাইরেও বর্তমান মেয়র স্বতন্ত্র হয়ে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পাশাপাশি রয়েছে জাতীয় পাটির প্রার্থী। যদিওবা গত পৌরসভা নির্বাচনে জাতীয় পাটির প্রাপ্ত ভোট ছিল শতকের ঘরের নিচে।

বর্তমান পৌর মেয়র মো. রফিকুল আলম নৌকা প্রতীকের প্রত্যাশি থাকলেও শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে পাল্টা শো-ডাউন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তিনি এবারও মোবাইল ফোন প্রতীক পেয়েছেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইব্রাহিম খলিল ও লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পাটির প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ।

গত পৌরসভা নির্বাচনে খাগড়াছড়ি পৌরসভায় পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বর্তমান মেয়র মো. রফিকুল আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোবাইল প্রতীক নিয়ে ৯ হাজার ৪শ ১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. শানে আলম পান ৫ হাজার ৫শ ৩৭ ভোট, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট আব্দুল মালেক মিন্টু  ৩ হাজার ৭শ ৬৭ ভোট, প্রসীতের ইউপিডিএফ সমর্থিত প্রার্থী কিরণ মারমা ২ হাজার ১৮ ভোট ও জাতীয় পাটির মো. ইসহাক ৯৫ ভোট।

গত পৌরসভা নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৩ হাজার ৬শ ১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৯ হাজার ১২২ জন এবং নারী ভোটার ১৪ হাজার ৪৯৭ জন। এবার নতুন ভোটার ৩ হাজার ৪শ ৮৬ জনসহ ৩৭ হাজার ৮৭ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৩৫১ জন ও নারী ভোটার ১৬ হাজার ৭শ ৩৬ জন।

এর আগে ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইউপিডিএফ সমর্থিত প্রার্থী চঞ্চুমনি চাকমা ১৩ হাজার ৪শ ২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী কংচাইরী মাস্টার মগ পেয়েছেন ১৩ হাজার ২শ ৬২ ভোট। সে সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. শানে আলম ৯ হাজার ৮শ ৭২ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন।

তবে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ভোটের সমীকরণ সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ এবার খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে ইউপিডিএফ’র প্রার্থী নেই। সেই সাথে রয়েছে নতুন ৩ হাজার ৪শ ৮৬ ভোট। এ সমীকরণ মিলাতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: খাগড়াছড়ি, নির্বাচন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন