প্রতারণা করে বিয়ে, অত:পর টাকা পয়সা নিয়ে উধাও

fec-image

টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে এক মেয়ের সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় কক্সবাজারের লিংকরোড দক্ষিণ মুহুরিপাড়া এলাকার মৃত ছব্বির আহমদের ছেলে মো. জোবাইরের। প্রায় ছয় মাস অভিনয় করে নিজের দিকে আকৃষ্ট করে ওই ছেলেটি। প্রেমের ফাঁদে ফেলে নারীটিকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে তার বাড়িতে ১০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তখন মেয়েটি হোয়াইক্যং আলহাজ আলী আছিয়া স্কুলের ছাত্রী ছিলো।

যৌতুকের জন্য তখন থেকে শুরু হয় মেয়েটির উপর নির্যাতন। স্বামীর পাশাপাশি তার ভাই মো. ইউনুছ, এমদাদ উল্লাহ মিলে নির্যাতন করতো বলে অভিযোগ স্ত্রীর। তখন নিরুপায় হয়ে স্বামীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে চলে আসেন তিনি। এরপর শ্বশুরের যা ছিল তা নিয়ে হোয়াইক্যং বাজারে একটি চায়ের দোকান করে দেয়া হয়।

তারপরে সুচতুর জুবাইর স্ত্রীকে দিয়ে গ্রামের আশা ব্যাংক, ব্র্যাংক ব্যাংক থেকে ক্ষুদ্র ঋণ বাবদ ২ লাখ টাকা নেয়। এ ছাড়া শ্বশুরের আশে পাশের লোকজন থেকেও নগদ টাকা ধার নেওয়া হয়। এ দিকে গোপনে দোকানটি বিক্রি করে নগদ টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে যায় জোবাইর।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জোবাইরের স্ত্রী বলেন, অভিনয় করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন জোবাইর। এক বছরের মধ্যে তার দুই ভাই ইউনুছ, এমদাদ ও শ্বাশুড়ী মিলে সীমাহীন অত্যাচার চালাতো। পরে নিরুপায় দেখে টাকা পয়সা দিতে রাজি হয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসি জোবাইরকে। অতপর পিতা ও ভাইয়ের করে দেওয়া দোকান, টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়ে যায়।

আরও চার লক্ষ টাকা না দিলে সে আমার সাথে সংসার করবেনা বলে জানিয়ে দেয়। তিনি আরও বলেন, ‘বিয়ের সময় প্রায় দুই লক্ষ টাকার ফার্নিচার দেওয়া হয়। ওই ফার্নিচারগুলোও সে বিক্রি করে দেয়। এখন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে শুধু হুমকি দেয়।’ তাদের সংসারে ফুটফুটে একটি দুই বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে।

এ ব্যাপার জোবাইর দোকান ও ক্ষুদ্র ঋণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুধুমাত্র গত কিস্তিগুলো পরিশোধ করা হয়নি। সেই সাথে স্ত্রী আমার কথা না শুনাতেই আমি চলে এসেছি।’

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন