ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবসের আনন্দ পর্যটন শহর বান্দরবানে

নিজস্ব প্রতিনিধি:

পহেলা ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে মোবাইলে মেসেজ, ম্যাসেঞ্জারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফুলের স্নিগ্ধতা ও ভালোবাসা দিবসের মাত্রার পরিমাণ জানান দিচ্ছিলো।

এগুলো থেকে বোঝার অপেক্ষা রাখে না দিবস কে ঘিরে পর্যটন এলাকাগুলোতে রঙিন মানুষের আগমন আর বিচরণ কেমন ঘটবে!

তেমনিভাবে গত দুই দিন পাহাড়ের রাণী বান্দরবানে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারই সাথে যুক্ত হয়েছে দু’দিনের সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে হোটেল মোটেল গুলোতে কোন রুমই আর খালি নেই। তবে এই দু’টি বিশেষ দিনকে ঘিরে শহরের কোথাও আনুষ্ঠানিকতা নেই।

বুধ ও বৃহস্পতিবার বান্দরবান শহরের নিকটে নীলাচল ও মেঘলা পর্যটন এলাকায় দর্শণার্থীদের প্রচুর ভিড় দেখা যায়। এসময় অনেক তরুণ তরুণীর হাতে লাল গোলাপ আবার অনেকের চুলের খোঁপায় ছিল গাঁধা ফুল। এসব তরুণ তরুণীদের মাঝে ছিল অন্যরকম এক আনন্দ।

চট্টগ্রাম থেকে নীলাচলে ঘুরতে আসা নব দম্পতি মিজবাহ-শামীমা জানান, বিয়ের পর পরই বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বেড়াতে আসা।

তবে বিশেষ এসব দিনে পর্যটন শহর এলাকায় আনুষ্ঠানিকতা থাকলে পর্যটকরা আরও বেশি আনন্দ উপভোগ করতে পারতো।

এছাড়াও বান্দরবান শহরের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নারী-পুরুষ ভালোবাসা আর ফাল্গুনের আনন্দ উপভোগ করেছেন একে অপরের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

এদিকে শহরের প্রেসক্লাব চত্বরের ফুল ব্যবসায়ী সাত্তার জানান, গত দুই দিন লাল গোলাপ, রজনীগন্ধা ও গাঁদা ফুলের চাহিদা বেশি ছিল। পর্যটকদের পাশাপাশি তরুণ তরুণীরাও ফুল কিনেছে।

বান্দরবান হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, শীত মৌসুমে পর্যটকদের আগমন বেশি থাকে। তবে গত দুই দিন পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে প্রতিটি হোটেলে পর্যটকের আগমন বেড়েছে। টানা বুকিংয়ের কারনে অনেক হোটেলে রুম খালি নেই।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন