ফ্রান্সে ইসলাম নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়ে নিজেই নিষিদ্ধ!

is
নিউজ ডেস্ক :
ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজির দলের নেতা এবং ভেনেলে শহরের মেয়র রবার্ট শার্ডন হুঙ্কার বলেছিলেন, ‘২০২৭ সালের মধ্যে ফ্রান্সে ইসলাম ধর্মকে নিষিদ্ধ করা হবে। এবং কেউ এই ধর্ম পালন করতে চাইলে তাকে সাথে সাথে সীমান্তের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হবে।’

এ ঘোষণা দেয়ার দুই দিন না যেতেই মেয়র এখন নিজের পদেই ‘নিষিদ্ধ’ হওয়ার অপেক্ষায় আছেন শার্ডন। তার দল ইউএমপি ইতোমধ্যে তাকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে এবং মেয়র পদ থেকেও তাকে বরখাস্ত করা হতে পারে।

ইউএমপি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট নাথালি কসিউস্কো মরিজে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘এ ধরনের অদ্ভুত মন্তব্য কোনোভাবেই ইউএমপির কর্মসূচির মূল্যবোধের প্রকাশ ঘটায় না। আমি তার বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’

শার্ডন তার টুইটারে ইসলামবিদ্বেষী মন্তব্য করার পরপরই নিকোলা সার্কোজি টুইট করে এর প্রতিবাদ জানান। তিনি তার টুইটে লিখেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে (ধর্মীয় ক্ষেত্রে) সীমানা নির্ধারণ হলেও আমি এ ধরনের প্রস্তাবের নিন্দা জানাই। অধিকার এবং সীমাবদ্ধতা পাশাপাশিই চলে।’

প্রথমে শার্ডনের চরমপন্থী মন্তব্য নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছিল। অনেকে ভেবেছিলেন হয়তো তার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে কেউ এমন মন্তব্য প্রকাশ করেছে। কিন্তু পরে তিনি নিজেই এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এরপরই এ নিয়ে সর্বমহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মুসলিমদের পাশাপাশি অন্য ধর্মের লোকজনও সমালোচনায় মুখর হন। টুইটার ব্যবহারকারীরা বলেন, ‘ইসলাম নয়, বরং ফ্রান্সে পাগলামি নিষিদ্ধ হওয়া উচিত!’

ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামবিদ্বেষ মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। দায়িত্বশীল পর্যায়ের অনেক ব্যক্তিও প্রকাশ্যে ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব প্রকাশ করছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন