‘বছরের প্রতিটি দিনই আমাদের জন্য ভালোবাসা দিবস’
আজ ১৪ই ফেব্রুয়ারি, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। সচরাচর দিবসটিতে সবাই প্রিয়জনের সঙ্গে কাটাতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে পার্ক, পিকনিক স্পট কিংবা বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছুটতে দেখা যায় সকলকে। তবে প্রতিবন্ধীদের সবার মত এই দিবস গুলো উদযাপন করতে পারেনা। তবে খাগড়াছড়ির পানছড়ির ব্যতিক্রমী ভালোবাসা নিয়ে দুই প্রতিবন্ধী শিশুর সাথে খেলায় ব্যস্ত এক মমতাময়ী মা হামিদা। জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী দুই সন্তান শাহানা ও আবদুল হামিদকে নিয়ে উঠোনে খেলা করছিল হামিদা। মুরগীর ছানার কিচিরি-মিচির শব্দের মাঝে একটি ছাটাই বিছিয়ে পুরনো কিছু প্লাষ্টিকের জিনিসপত্র নিয়ে খেলছিল মা-মেয়ে-ছেলে।
আজকের ভালোবাসা দিবস নিয়ে জানতে চাইলে হামিদা বেগম বলেন, ভালোবাসা দিবস কি বুঝি না। তবে সব সন্তানের জন্য তার মা-বাবার ভালোবাসা থাকে বছরের প্রতিটি দিন। তেইশ বছর ধরে দুই রতকে বুকে জড়িয়ে দিন কাটাচ্ছি। আমাদের ভালোবাসার কোন নির্দিষ্ট দিন নাই।
জানা যায়, পরিবার প্রধান আবদুল আলী ও হামিদার ঘরে জন্ম নেয়া তিনটি সন্তানই খর্বকায় প্রতিবন্ধী। বছর তিনেক আগে মেজো মেয়ে মারা যায়। তাদের সব কাজের একমাত্র মাধ্যম মায়ের কোল। মায়ের কোলে চড়ে হামিদ এবার পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় দশম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। শীতের সময় রাস্তার পাশে বসে পিঠা বিক্রি করে চলে তাদের সংসার।
পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসর পিছনে বাঁশঝাড়ের পাশে প্রতিবেশী আবদুল কাদেরের দান করা চার শতক জায়গায় বর্তমানে তাদের বসবাস। হামিদা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি দালান ঘর যদি আমরা পেতাম তাহলে আমরা এই প্রতিবন্ধী সন্তানদের নিয়ে ভালো করে থাকতে পারতাম।