বদলির পরও বহাল তবিয়তে রাঙামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা

10966698_823009727769546_153063796_n

স্টাফ রিপোর্টার :

বদলির পরও বহাল তবিয়তে রয়েছেন রাঙামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম রিয়াজ উদ্দিন। তাকে রাঙামাটির কর্মস্থল থেকে স্ট্যান্ডরিলিজ দিয়ে বদলি করা হয়েছে ময়মনসিংহ জেলায়। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের আদেশ দেয়া হলেও এখনও বর্তমান কর্মস্থল রাঙামাটি অফিসের দায়িত্বভার ছেড়ে দেন নি তিনি।

জানা যায়, রাঙমাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ঘুষ ও শিক্ষক নিয়োগবাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের ভিত্তিতে রাঙামাটির কর্মস্থল থেকে স্ট্যান্ডরিলিজ দিয়ে ময়মনসিংহ জেলায় বদলির আদেশ জারি হয় তার।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশা-১) রেবেকা সুলতানার স্বাক্ষরে ২২ জানুয়ারি জারিকৃত বদলির আদেশে বলা হয়েছে, ২৯ জানুয়ারির মধ্যে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান না করলে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত করা হয়েছে মর্মে গণ্য হবে। কিন্তু কী কারণে এখনও বর্তমান কর্মস্থলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট কয়েক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন অজুহাতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বর্তমান কর্মস্থলে বহাল থাকার আবেদন করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জোর তদবিরে রয়েছেন রিয়াজ উদ্দিন। সূত্রের দেয়া তথ্য মতে, বর্তমানে রাঙামাটি জেলায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ে প্রায় সাড়ে ৩শ’ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতিমধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রার্থীদের আবেদন জমা নেয়া হয়েছে। ওই নিয়োগ বাণিজ্যের সুযোগ নিতে মরিয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন। তাই বর্তমান কর্মস্থলে বহাল থাকতে তদবির চালাচ্ছেন বলে জানায় সূত্রটি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রিয়াজ উদ্দিন এখন রাঙামাটির কর্মস্থলে অনুপস্থিত। এসব বিষয়ে জানতে তার ব্যবহার করা মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন করেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। পরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ফোন করলে অফিস সহকারী তুষার চাকমা বলেন, স্যার বর্তমানে ঢাকায়। তিনি এক সপ্তাহের জন্য ঐচ্ছিক ছুটিতে আছেন। তিনি সম্ভবত ঢাকার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে যোগদান করতে পারেন বলে শুনেছি। তবে বর্তমান কর্মস্থলের দায়িত্বভার এখনও হস্তান্তর করেন নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন