বাঁকখালী মৌজায় ব্যক্তি মালিকানাধীন সৃজিত বাগান ও ভুমি জবর দখলের অভিযোগ
স্টাফ রির্পোটার
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের ২৭৯নং বাঁকখালী মৌজায় সৃজিত রাবার বাগান ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ৫০ একর ভুমি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগকারী বাগান মালিকের পক্ষে কেয়ার টেকার আব্দুল জব্বার ফরাজী জানান, ২৭৯নং বাকখালী মৌজায় সিট নং- ২ এর অধীনে সরকার থেকে বরাদ্ধ পাওয়া দুইটি প্লটে বিগত এক সপ্তাহ যাবৎ রামু উপজেলার গর্জনীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরীর ক্যাডার মহি উদ্দিন ও মিন্টু চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক লোক নিয়ে ভুমি জবর দখল ও সৃজিত রাবার বাগান দখল প্রক্রিয়ায় লিপ্ত রয়েছে। বাগানের কেয়ার টেকার আব্দুল জব্বার ফরাজী বাঁধা দিতে গিয়ে আরো উল্টো হুমকি ধমকির শিকার হয়েছেন বলে জানান।
এছাড়া তাদের নিষেধ করা সত্বেও কোন ধরণের কর্নপাত করছে না বলে জানান। বাগান মালিক মো. হারুন ও রফিকুল ইসলাম বলেন, তারা সরকারের নিকট লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব দিয়ে ভুমি লিজ নিয়ে বাগান সৃজন করেছেন। কিন্তু ভুমি জবর দখলকারীদের কারণে তারা অসহায় হয়ে পড়েছে। কেয়ার টেকার আব্দুল জব্বার বলেন, গত বছর তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরীর লোক পরিচয়ে উক্ত জায়গা জবর দখলের চেষ্টা চালানোর পর তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এরপর থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসির নিকট আর কোনদিন অন্যের জমি দখলে নিবে না বলে অঙ্গিকার করেন।
কিন্তু গত এক সপ্তাহ থেকে আবারো শতাধিক লোক নিয়ে জবর দখল চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জবর দখলকারীর দায়িত্বে থাকা মহি উদ্দিন ও মিন্টু চৌধুরী বলেন, তাদের নিকট ৫০ একর জায়গার হেডম্যান প্রতিবেদন রয়েছে। তাই বাগানের জন্য জায়গা গুলো পরিষ্কার করছেন। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের আইন অনুযায়ী হেডম্যান প্রতিবেদনে জমির মালিকানা দাবি করা যায় না বলে মৌজা হেডম্যান উচাহ্লা চাক জানান।