বান্দরবানে ৬ সমবায় সমিতি গ্রহকদের কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা

 

Bandarban pic-9.7.2014
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বান্দরবানে ব্যাঙ এর ছাতার মত সদ্য গজিয়ে উঠা ছয়টি কো-অপারেটিভ সোসাইটি দরিদ্র জনগনের সঞ্চয়ের কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। এ ধরনের আরও কয়েকটি সংস্থা যেকোনো মুহূর্তে উধাও হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সঞ্চয়কারীরা।

এদিকে তদারকি না থাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজাচ্ছে কো-অপারেটিভ সোসাইটি। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের অভিযোগ, সংস্থাগুলো সঞ্চয় সংগ্রহের নামে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করলেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সমবায় অধিদফতর ও কোম্পানি আইনে নিবন্ধিত আল-আমিন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, অঙ্গন প্রোগ্রেসিভ সোসাইটি, সিয়াম বহুমুখী সমবায় সমিতি, সিডিএস, জনসেবা কো-অপারেটিভ সোসাইটি, পপি সমাজ কল্যাণ মূলক সমিতির এই ছয়টি সংস্থা দুই মাস আগে লাপাত্তা হয়ে গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংস্থাগুলোর কর্মচারীরা স্বীকার করে বলেন, আল-আমিন প্রায় ২৩ লাখ টাকা, অঙ্গন ৯ লাখ, সিয়াম ৩৫ লাখ, জনসেবা কো-অপারেটিভ সোসাইটি প্রায় ৩০ লাখ টাকা এবং পম্পি সমবায় সমিতি প্রায় ৫ লাখ টাকা বস্তিবাসী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে তুলে নিয়ে গেছে। সংস্থাগুলোর কার্যালয়ে গিয়ে অফিস তালাবদ্ধ ও কর্মকর্তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
কলাপাড়ার বাসিন্দা মেসাচিং, চিংবোয়াং প্রু মারমাসহ অনেকে আল-আমিনের কাছে সঞ্চয় জমা দিয়েছেন। কিন্তু এখন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানান।

সঞ্চয়কারীদের অভিযোগ, জেলা শহরে সোশ্যাল, প্রেরণাসহ আরও কয়েকটি সংস্থা এখনও সঞ্চয় সংগ্রহ করছে। তারা লাখ লাখ টাকা সঞ্চয় সংগ্রহ এবং ঋণ বিতরণ করলেও কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লেনদেনের কাগজপত্র নেই।

জনসেবা কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ উল্লাহ মিলন সঞ্চয় সংগ্রহের কথা স্বীকার করে বলেন, সঞ্চয় সংগ্রহ করে ঋণ বিতরণ করা হয় বলে ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো লেনদেন করা হয় না। একই কথা বলেন অন্য সংস্থাগুলোর ব্যবস্থাপকরাও।

মঙ্গলবার বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সামনে পপি সমাজ কল্যাণ মূলক সমিতির সঞ্চয় প্রদানকারীরা সমিতির সভাপতি পম্পি সেনকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মঞ্জুরুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, জনসেবার বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। সিডিএস নামে একটি সংস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্য সংস্থা সম্পর্কে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন