বাংলাদেশও কাঁটাতারের বেড়া দেবে মায়ানমার সীমান্তে- বিজিবি মহাপরিচালক
কক্সবাজারে আগামী মাসে ৪টি ব্যাটালিয়নের সমন্বয়ে শুরু হচ্ছে বিজিবি’র নতুন সেক্টর
মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশও কাঁটাতারের বেড়া, ওয়াচ টাওয়ার ও সড়ক নির্মাণ করবে বাংলাদেশ
আবদুল্লাহ নয়ন, কক্সবাজার:
কক্সবাজারে স্থাপিত হচ্ছে যাচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’র (বিজিবি) নতুন সেক্টর। আগামী মাসে এই সেক্টরের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। কক্সবাজার সদর, টেকনাফ, রামু, ও নাইক্ষ্যছড়ি বিজিবি’র ব্যাটালিয়নকে নিয়ে বিজিবি এই নতুন সেক্টর গঠন করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে কক্সবাজারস্থ বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়নস্থ হেড কোয়ার্টারে আয়োজিত ‘মাদকদ্রব্য ধ্বংসানুষ্ঠান’ শেষে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এই ঘোষণা দেন।
তিনি আরো বলেন, কক্সবাজার একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। মিয়ানমারের সাথে রয়েছে কক্সবাজার এবং বান্দরবানের বিশাল সীমান্ত এলাকা। কক্সবাজারে বিজিবির নতুন সেক্টরের কার্যক্রম শুরু হলে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকার মাদক পাচার, চোরাচালান প্রতিরোধ, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধে বিজিবি সদস্যরা আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।
বিজিবি’র মহাপরিচালক আরো জানান, মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশও কাঁটাতারের বেড়া, ওয়াচ টাওয়ার এবং বিজিবি’র টহল জোরদারের জন্য সীমান্ত বরাবর সড়ক নির্মাণ করবে। বিজিবি ইতোমধ্যেই এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য তিনটি প্রকল্প সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছে। সরকারও এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্ধ পেলেই শীঘ্রই এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হবে।
বিজিবি মহাপরিচালক জানান, মিয়ানমারের সাথে বান্দরবান সীমান্তের যেসব অঞ্চল এখনো অরক্ষিত অবস্থায় আছে। তাতে নতুন করে দুটি ব্যাটালিয়ন স্থাপনের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই বান্দরবানের অরক্ষিত সীমান্তে বিজিবির কার্যক্রমকে আরো জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মাদকদ্রব্য ধ্বংসানুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিজিবির চট্টগ্রাম দক্ষিণ পূর্ব রিজিওন কমান্ডার ব্রি. জেনারেল আলী মুর্তুজা খান, চট্টগ্রাম সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বিজিবির উপ-মহাপরিচালক কর্ণেল মোহাম্মদ রুস্তম আলী, বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল খালেকুজ্জামান, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আজাদ মিয়া প্রমুখ।
এর আগে বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়ন কর্তৃক বিভিন্ন সময় জব্দকৃত দেশি বিদেশি বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্য ধ্বংস করেন এবং বিভিন্ন মূল্যবান বিদেশি আ্যালকোহল বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন’র নিকট হস্তান্তর করেন।