বাতি জ্বলে না কুতুবদিয়ার ৪ জেটিতেই, যাত্রীদের চরম ভোগান্তি

fec-image

কুতুবদিয়ায় ঘাট পারাপারে ৪ জেটিতে কোন বাতি জ্বলে না। সন্ধ্যা নেমে এলেই যাত্রী কিংবা মালামাল উঠা-নামায় ভোগান্তির যেন শেষ নেই। ভাটার সময় পানি নিচে নেমে গেলে জেটিতে উঠতে চরম ভোগান্তি শুরু হয়। দীর্ঘ দিন ধরেই জেটিতে সোলার লাইট নষ্ট থাকায় সন্ধ্যার পর থেকেই যাত্রীদের বিশেষ করে নারী-শিশুদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কোন অভিযোগ কেউ আমলেই নিচ্ছেনা।

দ্বীপে আলী আকবর ডেইল জেটি, বড়ঘোপ জেটি, দরবার জেটি ও ধুরুং (সতরুদ্দিন) জেটি রয়েছে সরকারি ইজারার আওতায়। আকবরবলী পাড়া ঘাটে জেটি অসমাপ্ত থাকায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সেটি ইজারা দেন। বাকি ৪টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রতি বছর ইজারা প্রদান করা হয়ে থাকে।

তবে পরিতাপের বিষয় যে, প্রতি বছর ইজারা মূল্য বৃদ্ধি করা হলেও জেটিগুলোতে পর্যাপ্ত সুবিধা দেয়ার নাম নেই। ফলে বছর বছর ইজারার হাত বদল হলেও যাত্রীদের ভোগান্তি কেউ দেখেনা।

ধুরুং বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজবাহুল আলম সিকদার বলেন, উপজেলার কোন জেটিতেই সন্ধ্যার পর বাতি জ্বলে না। সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত নিয়মিত ঘাট পারাপার হয়ে থাকে। অন্ধকারে যাত্রীরা জেটিতে উঠতে গিয়ে অনেক সময় পা পিছলেও যায়। এক সপ্তাহ আগেও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার ঘাট পার হতে এক যাত্রী ডেনিশ বটে উঠতে গিয়ে অন্ধকারে পা পিছলে পড়ে যান। পরে ওই যাত্রী পার না হয়েই পেকুয়া চলে যান পায়ের এক্সরে করাতে।

দরবার জেটি ঘাটে হাশিল আদায় কারি নাজেম উদ্দিন নাজু বলেন, প্রায় ২/৩ বছর ধরে ঘাটের জেটিতে বাতি নেই। টর্স লাইট জ্ব‌লিয়ে যাত্রীদের জেটিতে উঠা-নামায় সহায়তা করতে হয়। যাত্রীরা এনিয়ে অনেক সময়ৃ বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পরেন। সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে চালিত লাইট প্রথমে দেয়া হলেও তা ৩ মাসেই বিকল হয়ে যায়। এরপর থেকে আর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানান তিনি।

বড়ঘোপ জেটি ঘাটের একাধিক হাশিল আদায় কারি জানান, বিগত ঘুর্ণিঝড়ে লাইট নষ্ট হয়ে যাবার পর তা মেরামত হয়নি। প্রায় ১০টা পর্যন্ত নিয়মিত ঘাট পারাপার হয় যাত্রীরা। ভাটার পর সময় থাকলে ওঠা-নামায় কষ্ট হয় অন্ধকারে। টর্স লাইট একমাত্র ভরসা। তবে দ্রুত লাইট আসবে বলেও জানান।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বড়ঘোপ ঘাটের জেটিতে আলোর ব্যবস্থা হয়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

ঘাট পারাপারে পুরাতন ইজারাদার কামরুল হাসান সিকদার বলেন, বলতে গেলে দ্বীপের কোন জেটিতেই বাতি জ্ব‌লেনা। তারা একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। দীর্ঘদিনেও তার সমাধান হয়নি। যাত্রী ওঠা-নামায় রাতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দায়িত্ব। ছোটখাটো বিষয় হলে সংশ্লিষ্ট ইজারাদারগণ সমাধান করতে পারতেন ।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান জানান, জেটিগুলোতে সৌর প্যানেলে ল্যাম্পপোস্ট প্রকল্পটি ৪ বছর আগের। ৩ বছরের মেয়াদের পর এগুলোর দায়িত্ব চলে যায় দেখভালের। নতুন কোন প্রকল্প নেই এগুলো মেরামত কিংবা নতুন স্থাপনের।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন