বান্দরবানে কালবৈশাখী ঝড়ে ১২২টি ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত

fec-image

সবুজে ঘেরা বান্দরবান সদর উপজেলা টংকাবতী ইউনিয়নে কাল বৈশাখী ঝড়ে ১২২টি ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে গাছপালা এবং উঠতি ফসল ব্যাপকভাবে নষ্ট হয়েছে। গত বুধবার (২০ এপ্রিল) সকালে ঝড়-শিলা বৃষ্টিতে এ ঘটনা ঘটে ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টংকাবতী ৯নং ওয়ার্ড রামজু ম্রো পাড়া কাল বৈশাখী ঝড়ে ৬টি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা এখন খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বেশিরভাগ গৃহহীণ পরিবার গুলো বর্তমানে প্রতিবেশি বা আত্মীয়ের ঘরে আশ্রয় নিয়েছে।

রামজু পাড়ার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রেনপং ম্রো বলেন, গত ২০এপ্রিল সকালে কাল বৈশাখী ঝড়ের বাতাসে আমার ঘরের চালসহ সব উড়িয়ে নিয়ে গেছে।আমরা এখন গৃহহীণ অবস্থায় জীবকা নির্বাহ করছি। আজ ৪দিন হয়ে গেলো এখনো কেউ আমাদের সাহায্য সহযোগীতা করতে আসেনি।

একই পাড়ার য়ংরাও ম্রো আক্ষেপ নিয়ে বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ঘরের জিনিসপত্র সহ কিছুই রক্ষা করতে পারিনি।এমনকি কষ্ট করে কেনা সোলার প্লেটটাও বাতাসে উড়ে গিয়ে খুঁজে পাচ্ছিনা এখন। এলাকার মেম্বারও এ বিষয়ে কোন খোঁজ নিচ্ছেনা। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালেও কোন সহযোগীতার লক্ষণ নেই।আমি আর এখানে থাকবো না। অন্যত্র স্থানে গিয়ে কোন মতে নতুন ঘর তুলে থাকবো।

রামজু পাড়ার কারবারী(গ্রাম প্রধান) মেনপা ম্রো (৬০) বলেন, ঝড়ের বাতাসে আমার পাড়ার কিছু ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। যা থাকার মতো মোটেই উপযোগী নয়। এখনো সাহায্য সহযোগীতার জন্য কেউই আসেনি।

৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য য়ংওয়াই ম্রোকে এ বিষয়ে জানার জন্য বার বার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করার পরও কোন সাড়া মেলেনি।

বিষয়টি নিয়ে টংকাবতী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাংয়ং ম্রো জানান, গত ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবারের চালা ঘরের টিন উড়ে যাওয়ার বিষয়টি আমি জানার পরে এলাকা গুলো ঘুরে দেখেছি। আর শুধু রামজু পাড়াতে নয়। আমার পুরো ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ে ১২২টি পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। আমরা তাদের তালিকা তৈরি করেছি।

রোববার (২৪ এপ্রিল) তালিকাগুলো সদর ইউএনও এর কাছে জমা দিবো।কারণ অফিসিয়ালভাবে এক সাথে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহযোগীতা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ মূহুর্তে ইউনিয়নে কোন ফান্ড নেই। তারপরও আমার ইউনিয়নের কয়েকজনকে নিয়ে আলাপ করে ব্যক্তিগত থেকে যতটুকু পারি সাহায্য করবো।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন