কোয়ারেন্টাইনে ১১০ জন, বাড়ি ফিরলো ২৭ জন 

বান্দরবানে গৃহবন্দী দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে ত্রাণ সামগ্রী

fec-image

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে বান্দরবানের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

বিশেষ করে দূরত্ব বজায় রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আইন শৃংখলা বাহিনী দিনরাত ঘুরে বেড়াচ্ছেন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল।
এই জেলা এখনো পর্যন্ত করোনাভাইরাস ঝুকিমুক্ত থাকলেও হাসপাতাল এবং হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১০ জনে। যার মধ্যে ১৪ দিনের সময়সীমা পূর্ণ করে বাড়িতে ফিরেছে ২৭ জন।

এদিকে সোমবার (৩০মার্চ) পঞ্চম দিনের মতো ঘরবন্দী মানুষের মাঝে জেলার বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ তৎপরতা চলেছে। সকালে বান্দরবান পৌরসভায় করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দরিদ্র, অসহায়, শ্রমজীবি মানুষের জন্য সরকারি বরাদ্দের খাদ্য সামগ্রি
হস্থান্তর করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

এসময় পৌর মেয়র মো: ইসলাম বেবী, আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কাজল কান্তি দাস এবং ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়িতেও ত্রাণ তৎপরতা চালিয়েছে প্রশাসন। সোমবার সকালে জেলা প্রশাসনের পাঠানো এই ত্রাণ সামগ্রী গৃহবন্দী মানুষের কাছে পৌছে দেন বান্দরবান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
মাহামুদুল ইসলাম।

এসময় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যানিং মারমাসহ পরিষদের
মেম্বারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বান্দরবান জেলার ২‘শ মে.টন খাদ্যশস্য, ৫০ লাখ টাকা এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪৭ মে.টন চাল এবং ৩ লাখ
৪০হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও সেনাবাহিনীর নিজস্ব তহবিল থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠন এবং
ব্যক্তি উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রি সরবরাহ করে যাচ্ছেন।

অপরদিকে দমকল বাহিনী এবং সেনাাহিনীর গাড়িতে করে জীবাণু নাশক তরল ছিটানো হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডিক্লিন এবং রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগেও ছিটানো হচ্ছে তরল জীবাণু নাশক।

সংক্রমণ রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রায় ৩ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে জেলায়।

পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, তিন পার্বত্য জেলার গরীব অসহায় মানুষদের জন্য ৬‘শ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ও দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সতর্কতার কারণে আমরা সকল প্রকার গনপরিবহণ, হাট বাজার বন্ধ করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক করোনা পরিস্থিতির কারণে যাতে কোনো পরিবার খাবারে কষ্ট না পায়। তারজন্য দরিদ্র, অসহায়, শ্রমজীবি মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার কাজগুলো করছে সরকারি সংস্থাগুলো।

সিভিল সার্জন ডা: অংসুপ্রম্র মারমা বলেন, বান্দরবানে ১১০ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এদের মধ্যে ৯ জন রয়েছে হাসপাতালে। বাকিরা হোম কোয়ারান্টাইনে রয়েছে।

বিদেশ থেকে আসা লোকজন বাড়তে থাকায় কোয়ারান্টিনের সংখ্যা বাড়ছে।

তবে ইতোমধ্যে ১৪ দিনের সময়সীমা পূর্ণ করে স্বাভাবিক হয়ে ফিরেছে ২৭ জন। এখন পর্যন্ত জেলায় কোনো করোনা রোগী সনাক্ত হয়নি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, করোনাভাইরাস, বান্দরবান
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন