বান্দরবানে পাহাড়ের ঢালুতে আগাম তরমুজ চাষ

Bandarban pic-13.2.2014

স্টাফ রিপোর্টার:

বান্দরবানে পাহাড়ের ঢালুতে আমের সাথী ফসল হিসেবে তরমুজ চাষে সাফল্য চেয়েছেন কৃষিবিদ প্রদীপ বড়–য়া। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে পাহাড়ী লেকের ঢালুতে আমের চারার পাশাপাশি ১ একর শীতকালীন আগাম তরমুজ চাষ করে ভলো ফলন পেয়ে খুশি চাষীরা। আগাম চাষে ভল ফলন পেয়ে এলাকার চাষীরা আগামী বছর তরমুজ চাষে উৎসাহিত হয়েছে।

জেলা পরিষদের কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী প্রদীপ কুমার বড়ুয়া জানান, চ্যম্পিয়ন চায়না আগাম জাতের তরমুজ পার্বত্য জেলার মাঠি ও আবহাওয়ার উপযোগী। বীজ রোপনের ৭০ থেকে ৮০ দিনের মধ্য ফলন পাওয়া যায় এব খেবে বেশ সুস্বাদু। ২-৭ কেজি পর্যন্ত এ জাতের তরমুজের ওজন হয়। এক একর জমিতে ৩০০ মাদায় ১৫০০ চারায় প্রায় ১১ থেকে ১২০০ অথাৎ প্রায় সারে তিন টন তরমুজ পাওয়া গেছে। প্রতিটি তরমুজ ২০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এক একর জমিতে চাষ করে আয় হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা।

তিনি জানান, নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে বীজ রোপন করলে ৩০ দিনের মধ্য ফুল ও ফল আসে। আগাম চাষ করলে ক্ষেতে তেমন পানি দিতে হয়না। প্রয়োজনীয় সার ছাড়া কোন কীটনাশক ব্যাবহার করতে হয়নি। কীটনাশক ব্যাবহার না করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তরমুজ চারায় ফুল ও ফল আসার পরে প্রতি সপ্তাহে একদিন আগুনের খুপি জ্বালানো হত। থুপি জ্বালনোর ফলে পোকা মাকড় আগুনের পাশ্বে এস খেলা করত পরে আগুনে পুড়ে মারা যেত এবং ভাইরাস থেকে রক্ষা পেয়েছে।

তিনি বলেন, পরিক্ষামূলক ভাবে বান্দরবানে প্রথমবারের মত চ্যম্পিয়ন চায়না আগাম জাতের তরমুজ চাষ করা হয়েছে। চাষে ফলনও খুব ভাল হয়েছে। আগাম চাষ দেখে প্রান্তীক তরমুজ চাষীরা উৎসাহিত হয়েছে। এ জাতের তরমুজ অক্টোবরের প্রথম সম্পাহে চাষ করলে পানি এক বারে প্রয়োজন হবেনা। একাজে তাকে সহযোগীতা করেছেন জেলা পরিষদের মাঠ কর্মী অংথুই চিং, বিক্রম ত্রিপুরা, উথোউয় রাখাইন এবং পিন্টু মল্লিক।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন