বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি: সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার যোগে ত্রাণ বিতরণ

Bandarban pic-28

স্টাফ রিপোর্টার:
বান্দরবানে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় বন্যা প্লাবিত অঞ্চলগুলো থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু হওয়ায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রধান সড়কে যানবান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে পাহাড় ধসের মাঠি রাস্তার উপর থাকায় বান্দরবান-রাঙামাটি সড়ক ও রুমা, থানছি, রোয়াংছড়ি উপজেলাসহ অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এদিকে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে জেলা সদর, রুমা, রোয়াংছড়ি, নাইক্ষছড়ি, লামা, আলীকদম উপজেলায় ৭৮ মেট্রিক টন চাল ও লামা উপজেলায় সাড়ে চার লাখ টাকা দুর্গতদের মাঝে নগদ বিতরণ করা হয়েছে। বন্যার কারণে নৌ যোগাযোগ বন্ধ থাকায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দুর্গম থানছির রেমাক্রি ও তিন্দু ইউনিয়নে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার যোগে ত্রাণ পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার পৌর এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চে ত্রাণ বিতরণের উদ্বোধন করেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা। এসময় জেলা পরিষদের সদস্য ক্যাসা প্রু, লক্ষি পদ দাশ, কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা, সিংউয়ং ম্রো, তিতিং ম্যাসহ আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানায়, গত বুধবার থেকে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে বান্দরবানে জেলা শহরসহ উপজেলার প্রায় আট হাজার পরিবার পানিবন্দি ছিল। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ ও বিশুদ্ধ পানি না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসব এলাকায় বিশুদ্ধকরণ টেবল্যাট প্রেরণ করা না হলে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সরকারী সংস্থাগুলোর দাবি বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ করা হচ্ছে। যারা আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছিল তারা এখনো বাড়ী ফিরতে শুরু করেনি।

মৃত্তিকা ও পানি সংরক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান জানান,বন্যার পানি নেমে গেলেও থেমে থেমে বৃষ্টিপাত আরোকদিন অব্যাহত থকবে।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোমিনুর রহমান জানান, টানা বৃষ্টিপাতে বন্যা ও পাহাড় ধসে এবার বান্দরবানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যাদুর্গত এবং পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলছে।

বান্দরবানের পৌর মেয়র জাবেদ রেজা জানান, রবিবার থেকে পৌর এলাকার সাতটি আশ্রয় কেন্দ্রসহ ১৯টি স্থানে প্রতিদিন ৩ হাজার ২০০ মানুষকে প্রতিবেলা খিচুড়ি বিতরণ করা হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন