বান্দরবান অন্তর্বর্তীকালীন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দায়িত্ব গ্রহণ
স্টাফ রিপোর্টার:
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের পুনর্গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্য শৈ হ্লা। রবিবার দুপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে বান্দরবান জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে কমিটির অপর ১৪ সদস্যও আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে জেলা পুলিশ দেবদাস ভট্টাচার্য্য, পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোমিনুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল আবছার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ, পৌর মেয়র জাবেদ রেজাসহ ন্যাস্ত বিভাগের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবিন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নবনিযুক্ত চেয়াম্যান ক্যশৈহ্লা বলেন, বান্দরবান জেলা পরিষদকে জনকন্যাণমুখি করতে সদস্যদের মধ্যে ন্যস্ত বিভাগগুলো দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেয়া হবে। জনগণের চাহিদা পূরণ করতে তাদেরকে জনকল্যাণমুখি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনো বৃটিশ আইন বিদ্যামান রয়েছে। কিছু আইন পাহাড়ীদের সামাজিক আইন-কানুনের সাথে সাংঘর্ষিক। সামাজিক আইন কানুনগুলো সংশোধনের জন্য বিভিন্ন সম্প্রদায়ের পাহাড়ী নেতারা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পাহাড়ী সম্প্রদায়গুলোর প্রতিনিধিদের মাধ্যমে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজি মজিবর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক লক্ষি পদ দাশ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মহিলা ফাতেমা পারুল, জহিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ক্যা সা প্রু, থোয়াইচাহ্লা মার্মা, থোয়ইহ্লা মং মার্মা, তিংতিং ম্যা,সিংইয়ং ম্রো, ফিলিপ ত্রিপুরা, কাঞ্চন জয় তঞ্চংঙ্গ্যা, জুয়েল বম, ম্রাসা খেয়াং, ক্যাউচিং চাক সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট ৩ বছর মেয়াদী বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির জন্য পৃথক পৃথক পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ গঠন করা হয়। এরপর আর কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় নি। মেয়াদ শেষে ৫ সদস্য বিশিষ্ট অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছিল। এরপর ১৯৯৭ সালের পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর প্রণীত পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইনে (১৯৯৮) ‘পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ’ নাম বদলে ‘পার্বত্য জেলা পরিষদ’ করা হয়।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে আওয়ামী লীগের শেষ সময়ে ২০০০ সালে ১১ সেপ্টেম্বর মাসে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান ক্যশৈহ্লা। ২০০২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত তিনি দায়ীত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালের ২৫ মে মাসে দ্বীতিয়বারের মতো আবারো দ্বায়িত্ব পান ক্য শৈ হ্লা।