বিকাশ প্রতারণা চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছে দিঘীনালার বিপু চাকমা

Bipu Chakma copy

মো. আল আমিন, দীঘিনালা:

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী শান্তিপুর গ্রামের মৃতসঞ্চয় চাকমার ছেলে বিপু চাকমা বিকাশের প্রতারনা চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছে। জানা যায় , বিপু চাকমার(১৭) মোবাইলে সকালে হঠাৎ একটি রবি নাম্বার থেকে কল আসে পরিচয় না দিয়ে বলে, আমি রবি অফিস থেকে বলছি , রমজান মাস উপলক্ষে রবি থেকে লটারি ড্র হয়েছে দশ জন লটারি পেয়েছে তার মধ্যে আপনিও আছেন। আপনি ২লক্ষ ৮০হাজার টাকা পেয়েছেন , এই জন্য আপনাকে ১৫শ টাকা দিতে হবে। উত্তরে বিপু বলে, আমার কাছে কোন টাকা নেই । প্রতারক বলে, টাকা দিতে হবেনা বিকাশের দোকানে গিয়ে বিকাশ নাম্বার দিন।

তারপর বিপু চাকমা কবাখালী বাজরে ইত্যাদি লাইব্রেরী থেকে বিকাশ নাম্বার (০১৮৮৮৪৮৪৭০) দেয়।
তারপর প্রতারক চক্র উক্ত নাম্বারে ১২হাজার ২শ২০ টাকার হুবহু বিকাশের ম্যাসেজ পাঠায় । প্রতারক বিপু চাকমার নাম্বারের আবার কল দেয় টাকা পেয়েছেন কিনা জানার জন্য।

পরে বলে আপনিতো ২লক্ষ ৮০হাজার টাকা পেয়েছেন। তারা পুনরায় দুটি নম্বর দেয়। তার মধ্যে ০১৮৩৩৬৬৩৯৪৯ ২হাজার ও ০১৮২৮৮৫৯৪২৩৯ ১৫শ টাকা আরো পাঠালে বাকি টাকা বিকাশ নম্বরে পাঠিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু টাকা পাঠনোর পর আর একটি দোকানে গিয়ে অন্য একটি বিকাশ নম্বর দেয়া জন্য বলে। প্রতারকের কথামত বিপু কবাখালী বাজারের সাদিয়া টেলিকম সেন্টারের বিকাশ দোকানে গিয়ে ০১৮৩৩১১৭৮১৩ নম্বরটি দেয়। প্রতারক চক্র উক্ত বিকাশ নম্বরটিতে ২৫হাজার টাকার হুবহু একটি বিকাশের ম্যসেজ পাঠিয়ে দেয় । তারপর কল দিয়ে নিশ্চিত হয়ে বলে, আপনিতো অনেক টাকা লটারি পেয়েছেন তা থেকে মাত্র ১২হাজার টাকা আমাকে দেন আর ২লক্ষ ৭০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেবো । বিপু চামকা সরল বিশ্বাসে ০১৮৩৩৬৬৩৯৪৯ নাম্বারের এজেন্ট নাম্বার থেকে ১২ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেয় । টাকা পাঠনোর পর এই প্রতারকের নাম্বারগুলোতে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। বিকাশ দোকানদারদের সন্দেহ হয় তারা নিজে বিকাশ একাউন্ট চেক করে দেখে একাউন্টে টাকা জমা হয় নাই ।

এতে দোকানদার বিপুকে আটক করে রাখলে বাজার কমিটির সভাপতি অমরেশজ্যোতি চাকমা মা , চাচা, আত্নীয় স্বজনকে খবরদিয়ে এনে বিচার শালিস এর মাধ্যমে ইত্যাদি লাইব্রেরী ও সাদিয়া টেলিকম মালিকদেরকে মোট ২৪হাজার টাকা আক্কেল সেলামি দিয়ে বিপুকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় ।
বিষয়টি স্থানীয় পর্যায়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন