বিদ্যুৎহীন কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

fec-image

রাঙামাটির কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই দফায় শর্ট সার্কিটে বিদ্যুতের লাইন পুড়ে যাওয়ায় তিন দিন ধরে বিদ্যুৎহীন। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে রোগী, চিকিৎসক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়াও ফ্রিজে সংরক্ষণ করা ওষুধ নষ্ট হওয়ার পথে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২৭ অক্টোবর দুপুরে হাসপাতালটির নিচতলার বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ বক্সে শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লাগে।
আগুল লাগলে হাসপাতালটিতে থাকা অগ্নিনির্বাপক পাউডার দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন হাসপাতালের কর্মচারীরা। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগেই বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ লাইন পুড়ে যায়। এতে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে হাসপাতালটি। পরে হাসপাতালটি নির্মাণ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোক এসে একাংশের বিদ্যুৎ চালু করে। চালু করা অংশে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) আবার শর্ট সার্কিটে আগুন লেগে যায়। এবারও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে হাসপাতালের কর্মচারীরা। দফায় দফায় আগুন লাগায় রোগী ও দায়িত্বরতদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা যায়। দুই তদন্ত কমিটিকে মঙ্গলবারের (১ নভেম্বর) মধ্যে দুর্ঘটনার কারণ নিরূপণ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়াও চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের একজন প্রকৌশলী (ইলেক্ট্রিক্যাল) ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো চিহ্নিতের জন্য কাজ করছেন।

রবিবার (৩০ অক্টোবর) বিকালে হাসপাতাল পরিদর্শন করেন রাঙামাটির ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আরেফিন আজিজ, রাঙামাটি স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিফতরের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার অলিউর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী ও আবাসিক প্রকৌশলীর (বিদ্যুৎ) প্রতিনিধি।

ডেপুটি সিভিল সার্জন বলেন, ‘আমরা যৌথভাবে দুর্ঘটনার কারণ জানার চেষ্টা করছি। গুরুত্বপূর্ণ কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে বিদ্যুতের লাইন দেওয়া হয়েছে। অভিজ্ঞ ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত সবগুলো স্থান খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। সমস্যা নিরূপণের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ শেষ করার জন্য বলা হবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিও আমাদের সঙ্গে বর্তমানে সমস্যা নিরূপণে কাজ করছেন।’ কায়েকদিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ লাইন স্বাভাবিক হবে বলেও জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কাউখালী, বিদ্যুৎহীন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন