ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় চার বোনের হয়রানি

পেকুয়া প্রতিনিধি :

পেকুয়ায় পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জায়গা অবৈধ হস্তক্ষেপ করে ভোগ দখলে রাখতে মো. সেকান্দর আলী নামের আপন এক ভাইয়ের হাতে দায়ের করা মামলায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে অপর ৪ বোন। এমন অভিযোগ করেছেন সেকান্দর আলীর বোন ছায়েরা বেগম, হালিমা বেগম, জোহরা বেগম, রাশেদা বেগম।

বারবাকিয়া ইউনিয়নের বুধা মাঝির ঘোনা এলাকার মৃত আবদু রশিদের ছেলে ও কন্যা। এ মামলায় হয়রানির শিকার হয়ে বোনদের মাঝে চরম হতাশা ও আক্ষেপ দেখা দিয়েছে। যে কোন মুহর্তে দু’পক্ষে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষেরও আশংকা করছে এলাকাবাসী।

তিন বোন অভিযোগ করে জানান, পিতা আবদু রশিদ বেঁচে থাকা অবস্থায় ১৯৭৭-৭৮ সালে ভগ্নিপতি মোস্তাক আহমদ এর নামে বসতবাড়ি সন্নিকটে ১২০ শতক খাস জায়গা বন্দোবস্তি করে দেন। যার বন্দোবস্তি মামলা নং ১২৭১/১৯৭৭-৭৮। খতিয়ান নং ১৩৭৬। পরে ২০০২ সালের বন্দোবস্তি মামলা মূলে বিএস রেকর্ড করার জন্য মোস্তাক আহমদ বিজ্ঞ আদালতের দারস্থ হন। যার মামলা নং অপর ২২৫/০২।

বন্দোবস্তি মূলে রেকর্ড এর মালিক ভগ্নিপতি মোস্তাক আহমদ তার শশুরের দেওয়া জায়গা ৩ ভাই ৪ বোনের মাঝে বন্টন করার উদ্যোগ নেন এবং ওই জায়গা সার্ভেয়ার দ্বারা ফিরিস্থি করে জায়গা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বৈঠকে মিলিত হন। কিন্তু ভাই সেকান্দর আলী ওই জায়গার উপর বোনদের কোন ধরনের দাবী নাই উল্লেখ করে বৈঠক প্রত্যাখান করেন। এ বিষয়টি অপর বোনেরা মেনে না নেওয়ায় তাদের মাঝে বিরোধ দেখা দেয়।

এক পর্যায়ে ভাই সেকান্দর আলী বারবাকিয়া ইউপি কার্যালয়ে ২০১২, পেকুয়া থানায় ২০১৪, ২০১৬ ও বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। স্থানীয় পর্যায়ে এ সব মামলা তিনি করলেও শালিষী বৈঠকে উপস্থিত থাকেন না। যার কারণে বিষয়টি সব সময় শুনানির জন্য রাখা হলেও শেষ হয় না। এছাড়াও বিজ্ঞ আদালতের মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানকে তদন্তভার অর্পন করার পর বাদি বিবাদীকে নোটিশ দিয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলেও বাদি সেকান্দর আলী হাজির হন নি।

অভিযোগকারী বোনেরা আরো জানান, গত ৩দিন আগে এ বিষয়ে কোন ধরনের ঘটনা না ঘটলেও সেকান্দর আলীর পুত্র আবদুল গফুরের স্ত্রী রোমানা আকতারকে মারধর করা হয়েছে মর্মে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করায়। কিন্তু এ রকম কোন ঘটনা সে দিন হয়নি। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসন, ইউপি চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু জানান, মাননীয় আদালত থেকে একটি মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর বাদি বিবাদীকে গত ১৯/০৯/১৬ইং হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু বাদি হাজির না হওয়ায় ঘটনার সাক্ষি প্রমাণ নিতে পারি নাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেকুয়া হাসপাতালের টিএইচ (ভারপ্রাপ্ত) মুজিবুর রহমান জানান, রোমানা আকতারকে মারধরের অভিযোগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাকে মারধরের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। এছাড়াও স্থানীয় অনেক ব্যক্তি বলেছে বুধামাঝির ঘোনায় এ রকম কোন ঘটনা হয়নি। আরো পরীক্ষা নিরিক্ষা করে পরবর্তি সিন্ধান্ত নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন