ভাসানচরের পথে ১৬৫৪ জন রোহিঙ্গা

fec-image

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে ৫৬০ পরিবারের ১ হাজার ৬৫৪ জন রোহিঙ্গা।

বুধবার (১৬ ফ্রেব্রুয়ারী) সকাল থেকে ১১তম পর্বের দুপুর ও বিকেল দুই ধাপে উখিয়া কলেজ মাঠ থেকে এসব রোহিঙ্গাদের বহনকারী ৪০টি বাস চট্টগ্রাম পথে রওনা দেয়। ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে আগ্রহী রোহিঙ্গাদের বুধবার সকালে গাড়িতে করে প্রথমে উখিয়া ডিগ্রি মাঠে নিয়ে আসা হয়। সেখানে উন্নতমানের খাবার খাইয়ে, জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে দিয়ে গাড়িতে করে চট্টগ্রাম পাঠানো হয় বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

সেখান থেকে পরদিন সকালে নৌবাহিনীর জাহাজে তুলে রোহিঙ্গাদের ভাসানচর আশ্রয়শিবিরে স্থানান্তর করা হবে।

জাতীয় তদন্ত সংস্থার তত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর কার্যক্রম পরিচালনা করছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয় ও বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও)।

আরআরআরসি কার্যালয়ের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ শামছু-দ্দৌজা বলেন, বুধবার রোহিঙ্গাদের আরও একটি দল নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে।

জাতিসংঘ যুক্ত হওয়ার পর এটি ভাসানচরে দ্বিতীয় দফায় রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর কার্যক্রম। এর আগে পর্যায়ক্রমে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয় প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গা।

ভাসানচরে যেতে অনেক রোহিঙ্গার আগ্রহ থাকলেও ক্যাম্প কেন্দ্রিক কিছু সন্ত্রাসী গ্রুপ তাদের নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। তাই ভয়ে যেতে সাহস পাচ্ছে না অনেকে।

এব্যাপারে ১৪-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার নাঈমুল হক বলেন, ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আজ ১১তম পর্বে প্রথম ধাপে ১০০৬জন, বিকেলে আরো এক দফায় ৬৪৮ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

আরআরআরসি অফিস সূত্রে, কক্সবাজারে চাপ কমাতে অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরের আশ্রয়শিবিরে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে সরকারের। সেখানে ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট পরবর্তী মিয়ানমারের রাখাইনে নির্যাতনের শিকার হয়ে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে আসে আরও কয়েক লাখ। উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে অবস্থান করছে এসব রোহিঙ্গা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন