মহালছড়ির সিঙ্গিনালা খ্যাংসা পাড়া বৌদ্ধ বিহারে সীমাঘর প্রতিষ্ঠা ও কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি, মহালছড়ি :
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার সিঙ্গিনালা খ্যাংসা পাড়া বৌদ্ধ বিহারে ২ দিন ব্যাপী সীমাঘর প্রতিষ্ঠা ও ২য় কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার চীবর দান, ধর্মীয় দেশনা ও দানীয় সামগ্রী উৎসর্গ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহালছড়ি জোন অধিনায়কের পক্ষে অ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন মো: মোতালেব।
খ্যাংসা পাড়া বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ওয়ারামিজু ভিক্ষুর সভাপতিত্বে সংঘ প্রধান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমৎ আভিঞানা মহাথের। ধর্মদেশক হিসেবে হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমৎ ওয়েসারা ভিক্ষু। এছাড়াও কঠিন চীবর দানানুষ্ঠানের আর্থিকভাবে সহযোগিতাকারী বিহার তত্বাবধায়ক কংজরী চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মহালছড়ি জোন অধিনায়কের পক্ষে ক্যাপ্টেন মো: মোতালেব ও এলাকার শত শত দায়ক দায়িকা পঞ্চশীল গ্রহণ, চীবর দান ও নানাবিধ দানীয় সামগ্রী ভিক্ষু সংঘকে দান করেন। গত রাতে বৌদ্ধ ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী শ্রামণদের প্রব্রজ্যা গ্রহণ করতে শতাধিক ভিক্ষুর উপস্থিতিতে সুত্র পাঠের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে সীমাঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়।
ধর্মীয় দেশনাকালে শ্রীমৎ ওয়েসারা ভিক্ষু বলেন, পরম কল্যাণমিত্র তথাগত ভগবান সম্যক সম্মুদ্ধের শাসণে তথাগত বুদ্ধ ও ভিক্ষুসংঘের অনন্ত গুণে ত্রিশরণ যজ্ঞসহ পূণ্য কর্মের প্রভাবে সকল প্রকার হিংসা-বিদ্বেষ, ভেদাভেদ, দ্বন্দ্ব-সংঘাত, দুর্ভিক্ষ, রোগ-শোক, বৈরীতা, দূরীভূত হয়ে সারা বিশ্ব মৈত্রীময় পরিবেশে ভরপুর হোক। সমগ্র বিশ্ব ধন-ধান্যে পুরিপূর্ণ হয়ে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি লাভ করে সকলেই সুখ ও শান্তি লাভ করার কামনা করেন।