মহেশখালীতে বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণ
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুনীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক মো. সোহেল (২৭) কে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়নের
উত্তর সিকদার পাড়ায়।
৩০ এপ্রিল (শুক্রবার) বিকালে মাতারবাড়ির রাজঘাট এলাকা থেকে ধর্ষককে স্থানীয়দের সহয়তায় আটক করে পুলিশ। ধর্ষক মো. সোহেল মাতারবাড়ির দঃ মগডেইলের আব্দু শুক্কর পুত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোহেল ঘরে এক স্ত্রী রেখে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে টানা ২০দিন ধর্ষণ করে ওই তরুনীকে। এদিকে ধর্ষণের প্রতিকার চেয়ে ভিকটিম বাদী হয়ে আজ শনিবার (১ মে) মহেশখালী থানায় একটি এজাহার দায়ের করে সেটি মামলা হিসাবে রুজু করে পুলিশ।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২১শে মার্চ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করে(ধর্ষণ)। পরে বিভিন্ন সময়ে স্বামী-স্ত্রীর মতো শারীরিক সম্পর্ক করে। বিয়ের কথা বললে তিনি কৌশলে এড়িয়ে যায় বলে জানা যায়।
এদিকে ভিকটিম জানান, কয়েক মাস আগে পরিচয় সূত্র ধরে প্রেম হয়। এক পর্যায়ে সে শারীরিক সর্ম্পকের প্রস্তাব দেয়। আমি রাজি না হওয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে সে আমাকে বিয়ের আশ্বাসে চকরিয়া, ডুলহাজারাসহ চট্টগ্রামে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকতে বাধ্য করে। পরে জানতে পারি সে প্রতরণার আশ্রয় নিয়ে সে আমাকে দিন দিন ধর্ষণ করেছে। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই বলেন, মাতারবাড়িতে বিয়ের আশ্বাসে
এক তরুনীকে ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়ছে।
আটককৃত সোহেলের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অপর দিকে সূত্রে জানা যায়, মাতারবাড়ির কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে অনেক বাহিরের শ্রমিক কাজ করে, তারা মুলত মাতারবাড়ির সহজ সরল মেয়েদের প্রেমের ফাদে ফেলে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলছে। এটি সামাজিকভাবে চরম অবক্ষয় হয়ে উঠেছে। এটির পরিত্রাণ চাই এলাকাবাসী।