মাটিরাঙ্গায় বর্ণাঢ্য প্রভাত ফেরী : শহীদ মিনারে হাজারো শিক্ষার্থীর ঢল

C02810

নিজস্ব প্রতিবেদ, মাটিরাঙ্গা :

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’ মুখে মুখে এ গান আর হাতে হাতে ফুল নিয়ে মাটিরাঙ্গার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢল নামে হাজারো শিক্ষার্থীর। নানা রঙের ফুল হাতে নিয়ে আসা শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠে মাটিরাঙ্গা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ।

সকাল পৌনে সাতটার দিকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের সাথে নিয়ে শহীদ বেদীতে পুস্পমাল্য অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি.এম মশিউর রহমান। এসময় মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিরনজয় ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীল মো. মোহতাসিম বিল্লাহ, মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কৃষ্ণলাল দেবনাথ, মাটিরাঙ্গা ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ কাজী মো. সলিম উল্যাহ, মাটিরাঙ্গা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আশরাফ উদ্দিন খোন্দকার ও মাটিরাঙ্গা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল মালেক প্রমুখ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

এরপরপরই সকাল সোয়া সাতটার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি.এম মশিউর রহমান‘র নেতৃত্বে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘প্রভাত ফেরী’ মাটিরাঙ্গা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে শুরু করে প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে মাটিরাঙ্গা পৌর ভবন ও মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ মাঠে গিয়ে শেষ হয়।

সেখানে ভাষা দিবস, ভাষা আন্দোলন আর ভাষার মাস নিয়ে বক্তব্য রাখেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি.এম মশিউর রহমান, মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিরনজয় ত্রিপুরা ও মাটিরাঙ্গা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আশরাফ উদ্দিন খোন্দকার প্রমুখ

বক্তারা বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি মায়ের ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে একুশে ফেব্রুয়ারী ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙ্গালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ। পৃথিবীর ইতিহাসে ভাষার জন্য একমাত্র বাঙ্গালীরাই জীবন দিয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, তারই পথ ধরে শুরু হয় বাঙ্গালীর স্বাধীকার আন্দোলন। যার মধ্য দিয়ে একাত্তরে ৯ মাস যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন