খাগড়াছড়ির সাথে সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন মাটিরাঙ্গায় রেশনের দাবীতে আলুটিলা গুচ্ছগ্রামের কার্ডধারীদের জুতা মিছিল, সড়কের উপর গণ-অবস্থান
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিগত নয় মাসের বকেয়া রেশনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেমশ করেছে আলুটিলা গুচ্ছগ্রামের কার্ডধারীরা। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে গুচ্ছগ্রামের কয়েক‘শ কার্ডধারী মাটিরাঙ্গার তবলছড়ি চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ফলে পাহাড়ী জেলা খাগড়াছড়ির সাথে চট্টগ্রাম ও ঢাকা‘র সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
বিক্ষোভকারী বকেয়া রেশন না নিয়ে ঘরে ফিরে যাবেনা বলে ঘোষনা দিলেও বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মনিুরজ্জামান বকাউল আগামী রোববারের মধ্যে রেশন বিতরনের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ কারীরা তাদের কর্মসুচী স্থগিত করে। গুচ্ছগ্রামবাসীদের ন্যায্য অধিকার গুচ্ছগ্রামের বকেয় রেশন অবিলম্বে প্রদানের দাবীতে বেশন বঞ্চিত আলুটিলা গুচ্ছগ্রামের কয়েক‘শ কার্ডধারী নারী-পুরুষ জুতা হাতে রেশনের দাবীতে মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। কয়েক‘শ মানুষের অংশগ্রহনে বিক্ষোভ মিছিলটি তবলছড়ি চত্বরে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি-ঢাকা আঞ্চলিক সড়কে গণ-অবস্থান শুরু করে।
সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মাটিরাঙ্গা তবলছড়ি চত্বরে অবস্থান কর্মসুচী চলাকালে খাগড়াছড়ির সাথে ঢাকা-চট্টগ্রাম-ফেনীসহ সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সেখানে দুইপাশে আটকা পড়ে কয়েক‘শ যাত্রীবাহি যানবাহন। এসময় জনদুর্ভোগ চরমে পৌছে। পরে জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের অনুরোধে সড়ক অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষোভকালে বক্তারা আলুটিলা গুচ্ছগ্রামের প্রকল্প চেয়ারম্যান মো: সাইফুল ইসলাম বাবুকে সন্ত্রাসীদের গডফাদার উল্লেখ করে তাকে অপসারনসহ অভিলম্বে তাদের বকেয়া রেশন দাবী করে বলেন, কাউন্সিলর মো: সাইফুল ইসলাম বাবু আলুটিলার জনগণকে জিম্মি করে তাদের টাকায় আলুটিলায় প্রাসাদ তৈরী করেছে। নিরীহ মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলায় মত্ত কাউন্সিলর মো: সাইফুল ইসলাম বাবুকে বয়কট ও প্রতিরোধের আহবান জানিয়ে বলেন, সে জনগনের বন্ধু না, জনগনের শত্রæ। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে মাটিরাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ মোস্তফা, উপজেলা যুবলীগ নেতা শওকত আকবর, ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মো: রমিজ উদ্দিন, মো: নুরু মিয়া, ও সুমন মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা অবিলম্বে বকেয়া রেশন পরিশোধ করার ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: নুরুল ইসলামসহ দায়ের করা রীট প্রত্যাহারের দাবী জানান। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে মাটিরাঙ্গার ১৭টি গ্রচ্ছগ্রামের রেশনের বরাদ্ধ দেয়া হলেও সাবেক প্রকল্প চেয়ারম্যানদের হাইকোর্টে দায়ের করা রীটের কারণে আটকে গেছে মাটিরাঙ্গার ৭ গ্রচ্ছগ্রামের রেশন বিতরণ কার্যক্রম। ফলে বকেয়া রেশন না পাওয়ার মানবেতর জীবনযাপন করছে ৭টি গ্রচ্ছগ্রামের ২ হাজার ৪‘শ ৪ জন কার্ডধারী পরিবার।