মাতারবাড়িতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ২লাখ মানুষের সমাগমের প্রস্তুতি

মহেশখালী প্রতিনিধি:

আগামী ২৫ জানুয়ারি মাতারবাড়ি আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মাতারবাড়ির কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজের উদ্বোধন শেষে জনসভায় ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় অন্তত ২ লাখ লোক সমাগমের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মহেশখালী উপজেলা ও মাতারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে মাতারবাড়িতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। গতকাল দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, সংসদ সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসন সম্ভাব্য জনসভার স্থান পরিদর্শন করেছেন। এদিকে অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছেন।

মাতারবাড়িতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসছেন ২৫ জানুয়ারি। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এটি নিশ্চিত না হলেও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের তারিখ নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি ১২০০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজের উদ্বোধন শেষে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রেই এক জনসভায় ভাষণ দেবেন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের কারণে মাতারবাড়িকে সর্বোচ্চ নিরপাত্তার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। গতকাল জনসভার সম্ভাব্য মাঠ ও ভিত্তি প্রস্তরের স্থান পরিদর্শন করেছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ইতোমধ্যে ১৭ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে নির্মাণাধীন কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের।

গতকাল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সাথে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে মাতারবাড়ির মানুষ কোন শর্ত ছাড়াই দুইটি প্রকল্পের জন্য ২৬১৪ একর জমি হস্তান্তর করছেন। তারা জাতির জনকের কন্যাকে ভালবাসেন বলেই সহজেই সাড়া দিয়েছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে মাতারবাড়িসহ সমগ্র মহেশখালীর মানুষ বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ১৯৯৫ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী হিসাবে শেখ হাসিনা মাতারবাড়িতে জনসভা করে এই ইউনিয়নকে দ্বিতীয় জন্মস্থান বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। মাতারবাড়ির মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর আস্থাশীল।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম জানিয়েছেন, কোন পরিবর্তন না হলে ২৫ তারিখই প্রধানমন্ত্রী মাতারবাড়িতে আসবেন। এটি দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও সম্ভাব্য সকল কর্মসূচি সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন কাজ শুরু করেছে।

জেলা পরিষদ সদস্য মাস্টার রুহুল আমিন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মাতারবাড়ির মানুষের চাওয়া পাওয়া অনেক বেশি। জমি হস্তান্তরের পর স্থানীয়দের পেশার পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। যেটুকু সম্পদ নিয়ে মানুষের সংসার চলত তাও এখন নেই। এরপরও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মানুষের আত্মবিশ্বাস ও দেশের স্বার্থে মানুষ জমি হস্তান্তর করেছে। আমরা দেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।

মাতারবাড়ির চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ জানিয়েছেন, প্রকল্পের কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন স্থানীয় লোকজন। এটি ইতিহাস হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমুখ করেন নি মাতারবাড়ির মানুষ। আর সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক এর গতিশীল নেতৃত্ব প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে অধিগ্রহণকৃত জমির মালিক আবদুল খালেক জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে বসতভিটাও দিতে প্রস্তত আছি। তিনি কখনো সাধারণ মানুষের অকল্যাণে কাজ করেন না। তিনি যেমন সিদ্ধান্ত নিবেন ওই সিদ্ধান্ত মতেই আমরা কাজ করব। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন কালে আরো উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ, মাতারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম ছমিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক এসএম আবু হায়দার।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন