“মাদককে না বলুন” সচেতনতামূলক সফরে ৫৬তম জেলা রাঙামাটিতে পাবনার দুই বন্ধু
আলমগীর মানিক,রাঙামাটি:
সমাজে মাদকের ব্যবহার এমনি পর্যায়ে পৌছেছে যে, নিজেকে তথা যুব সমাজকে গঠন করতে হলে সমাজ থেকে মাদক নামক ভাইরাসকে ধ্বংস করার কোনো বিকল্প নেই। এটা উপলব্ধি করতে পেরে আগে নিজের মাঝে পরে সবার মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আমাদের এই পথ চলা। কথাগুলো জানালেন “মাদককে না বলুন’’ এই শ্লোগান বয়ে বেড়িয়ে সারাদেশ ভ্রমনকারি দুই বন্ধু ছোটন সরকার (১৯) ও রাম প্রসাদ সরকার (১৮)।
রাঙামাটি শহরের এক প্রান্তে বসে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে জানাগেছে, পাবনা শহরের পার্শ্বোক্ত গ্রাম দেলালপুরের বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ সরকারের ছোট সন্তান ছোটন সরকার ও নারায়ন চন্দ্র মালাকারের সন্তান রাম প্রসাদ মালাকার দুইজনই পাবনার সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। সমাজে মাদকের ভয়াবহ বিস্তার, এবং এর প্রভাবে যুব সমাজের অবক্ষয় দেখে দুই বন্ধু সিদ্ধান্ত নিলেন, নিজেরা সারাদেশ ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের মাঝে মাদকের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরে এর ভয়বহতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার। যেই ভাবা সেই কাজ, তাদের নিজেদের সম্ভল দুইটি বাইকেল আর সঙ্গে থাকা মাত্র আঠারো হাজার টাকা নিয়ে মাদক বিরোধী প্রচারনায় সারাদেশ ঘুরতে বেরোলেন। সেই পহেলা আগষ্টে পাবনা শহর থেকে বেরিয়ে বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর তারা মোট ৫৫ টি জেলা ঘুরে ৫৬তম জেলা রাঙামাটিতে আসেন। এখানে জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামালের সাথে দেখা করে জানালেন তাদের আগমনের উদ্দেশ্য।
জেলা প্রশাসক তাদের এই পথচলাকে স্বাগত জানিয়ে প্রশাসনের ষ্টেশন ক্লাবে থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন। কোনো প্রকার স্পন্সর ছাড়া সম্পূর্ন নিজেদের খরচে মাদকের অপব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে তারা এমন প্রচারণা চালাচ্ছেন জানিয়ে ছোটন ও নারায়ন দু’জনই জানালেন আমাদের এই পথ চলায় অনেকেই আমাদেরকে উৎসাহ দিচ্ছেন, খাওয়াচ্ছেন আবার সামান্য পকেট খরচও দিচ্ছেন। তাদের দীর্ঘ এই পথ চলায়, পথে কয়েকবার সাইকেলের কয়েকটি ক্ষুদ্র সমস্যা ছাড়া পাহাড়ি অঞ্চলে বাই সাইকেল চালানো সামান্য একটু কঠিন উল্লেখ করে এর বাইরে কোনো প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হননি তারা। তাদের এই পথ চলাকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি মাদকের অপব্যবহাররোধে এই সফর যথাযথ সহযোগি ভূমিকা রাখবে এমনটিই প্রত্যাশা রাঙামাটিবাসির।