মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মার্কিন আইন প্রণেতাদের আহ্বান

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

মিয়ানমারের সংঘাত কবলিত রাখাইন রাজ্যে সাংবাদিক ও ত্রাণকর্মীদের পূর্ণ প্রবেশের সুযোগ দিতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতারা। যুক্তরাষ্ট্র সিনেটে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) এই আহ্বান জানানো হয়।

সিনেটের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান এড রয়সি বলেন, মাঠে সাংবাদিক ও ত্রাণকর্মীদের থাকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, যতক্ষণ তাদের উপস্থিতি থাকবে ততক্ষণ এ ধরনের নৃশংসতা প্রতিহত হবে।

রয়সি সিনেটের সামনে মিয়ানমার বাহিনীর নির্যাতনের কারণে রাখাইন রাজ্যে মুসলিম রোহিঙ্গাদের দুর্দশার রিপোর্টগুলো তুলে ধরেন বলে ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

রয়সি আরো জানান, ট্রাম্প প্রশাসন ৩২ মিলিয়ন ডলার সাহায্য পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এর ২৮ মিলিয়ন যাবে বাংলাদেশে। গত আগস্ট মাসের শেষ দিক থেকে পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের একজন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট দেশটির সামরিক ও বেসামরিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিশেষ বিশেষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত বলে মত দেন সিনেট কমিটির সবচেয়ে সিনিয়র ডেমক্রেট প্রতিনিধি এলিয়ট এঞ্জেল।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনার সঙ্গে সুর মিলিয়ে মার্কিন আইন প্রণেতারাও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার বাহিনীর দমন অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

রয়সি বলেন, ‘শুধু রেকর্ড রাখার জন্য বলছি – আমরা একে পুরোদস্তুর জাতিগত নির্মূল হিসেবে চিহ্নিত করছি।’

এদিকে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) জাতিসংঘ জানায় যে এই সংকট মোকাবেলার পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মোট ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে সহায়তা প্রদানের জন্য ৪৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন হবে। এদের মধ্যে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গার আগমন ঘটে গত ২৫ আগস্টের পর।

 

সূত্র: south asian monitor

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন