যেভাবে নামকরণ ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র

fec-image

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিধিলি’। এ নামটি দিয়েছে মালদ্বীপ।

‘মিধিলি’ অর্থ তেজ। হামুনের পরে দেড় মাসের ব্যবধানে উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া তৃতীয় ঘূর্ণিঝড় এটি। নভেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির ঘটনা তুলনামূলকভাবে বেশি ঘটে তবে সাধারণত ঘূর্ণিঝড়গুলো বাংলাদেশের দিকে বাঁক নেয়।

আবহাওয়ার অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যার মধ্যে যে কোনো সময়ে এ ঘূর্ণিঝড়টি বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট ও চট্টগ্রামে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।

উত্তর ভারত মহাসাগর তথা বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে এই অঞ্চলের ১৩টি দেশ। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড মেটেরলজিক্যাল অর্গানাইজেশন প্যানেল সদস্য দেশগুলো ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে এই নামগুলো গ্রহণ করেছে।

দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন।

এই দেশগুলোর নামের আদ্যক্ষর অনুযায়ী তৈরি তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ হয়।

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের প্রচলন হয় ২০০০ সালে। ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের কারণ সম্পর্কে ওয়ার্ল্ড মেটেরলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, একটি ঘূর্ণিঝড় এক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই সময়ের মধ্যেই একই অঞ্চলে আরও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়া অসম্ভব কোনো ব্যাপার নয়। এ কারণে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হলে সম্ভাব্য বিভ্রান্তি এড়ানো সহজ হয়।

তালিকা অনুযায়ী ‘মিধিলি’র পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘মিগজাউম’। এ নামটি ঠিক করেছে মিয়ানমার। মিয়ানমারের দেয়া আগের ঝড় ছিল তাউটে। ‘মিগজাউম’ পরের ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করেছে ওমান। নাম দেওয়া হয়েছে ‘রে-মাল’।

এরপর পর্যায়ক্রমে তালিকায় রয়েছে আরও কিছু ঘূর্ণিঝড়। এগুলো হলো- পাকিস্তানের ‘আসনা’, কাতারের ‘ডানা’, সৌদি আরবের ‘ফেইনজাল’, শ্রীলঙ্কার ‘শক্তি’, থাইল্যান্ডের ‘মন্থা’, সংযুক্ত আরবের ‘সেন-ইয়ার’ ও ইয়েমেনের ‘দিতওয়া’।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’, দুর্যোগ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন