রংপুরকে হারিয়ে ফাইনালে মাশরাফির সিলেট

fec-image

টস হেরেও ম্যাচ জয়ের রেকর্ড খুব কম। কিন্তু টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটারদের দৃঢ়তায় স্কোরবোর্ডে বড়সড় রান তোলার পর বল হাতে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ম্যাচ জিতে নিলো মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্স। রংপুর রাইডার্সকে ১৮৩ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে ১৯ রানে ম্যাচ জিতে নিলো সিলেট। ১৬ ফেব্রুয়ারি বিপিএলের জমজমাট ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে সিলেট স্ট্রাইকার্স।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তর ৪০, মাশরাফির ২৮ রানের ওপর ভর করে সিলেট স্ট্রাইকার্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেচট হারিয়ে তুলেছিলো ১৮২ রান।

জবাব দিতে নেমে রনি তালুকদারের ৬৬ রান সত্ত্বেও সিলেটের বোলারদের সাঁড়াসি বোলিংয়ের সামনে শেষ মুহূর্তে এসে খেই হারিয়ে ফেলে রংপুর। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে রংপুর ৮ উইকেটে ১৬৩ রানে থেমে গেলে, ১৯ রানে জয় পায় সিলেট।

সিলেটের তরুণ বোলার তানজিম হাসান সাকিব নেন ২ উইকেট। বিদেশী ক্রিকেটার লুক উড নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট নেন রুবেল হোসেনও।

১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে স্যাম বিলিংসের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে রংপুর। মাত্র ১ রান করে আউট হন তিনি। তবে ওপেনার রনি তালুকদার এবং শামীম হোসেন পাটোয়ারি মিলে বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। ৩১ রানের জুটি গড়েন তারা দু’জন। ১১ বলে ১৪ রান করে আউট হয়ে যান আগের ম্যাচের ম্যাচ সেরা শামীম।

মাঠে নামেন নিকোলাস পুরান। নেমেই ঝড় তোলেন। ১৪ বলে ৩০ রানের ছোট একটা ঝড় তোলার পর পুরানের উইকেটও তুলে নেয় সিলেট। লুক উডের বলে জর্জ লিন্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান নিকোলাস পুরান।

এরপর মাঠে নামেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। রনি তালুকদারকে নিয়ে তিনি যেন ম্যাচটা বের করেই ফেলেছিলেন প্রায়। ২৪ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন সোহান। ৮২ রানের জুটি গড়েন এই দু’জন। কিন্তু এ সময় দুর্ভাগ্য সোহানের। তানজিম হাসান সাকিবের বলে ক্যাচ তুলে দেন। থিসারা পেরেরা ক্যাচটি তালুবন্দী করে নেন।

তবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভাগা সম্ভবত রনি তালুকদার। তার ব্যাটেই জয়ের স্বপ্ন দেখছিলো রংপুর রাইডার্স। ৫২ বলে ৬৬ রান করে ফেলেন তিনি। কিন্তু রান নিতে না গিয়েও জাকির হাসানের এক থ্রোয়ে আচমকা উইকেট ভেঙে যায় রনির। পরে রিপ্লাইতে দেখা যায় তিনি ক্রিজের বাইরে ছিলেন। রানআউট হয়ে গেলেন তিনি।

শেখ মাহদি হাসানকে মাঠে নামানো হয় বড় শট খেলে দলকে জেতানোর জন্য। কিন্তু মেহেদী ৫ বল খেলে ২ রান করে আউট হয়ে যান। ১৯তম ওভারে লুক উডের পরপর দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে রংপুর তাদের পরাজয় পুরোপুরি নিশ্চিত করে ফেলে। তার আগে তানজিম হাসান সাকিবের এক ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে কোমর ভাঙে রংপুরের।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ফাইনাল, মাশরাফি, রংপুর
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন