রাখাইনের মংডুতে ভূমি মাইনের বিস্ফোরণে ছয় সৈন্য নিহত

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

শুক্রবার(৫জানুয়ারি) সকালে উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের একটি দূরবর্তী বিস্ফোরণে ভূপাতিত হয়েছে বলে পুলিশ মনে করে, তাদের গাড়িতে আঘাত হানার পর ছয়জন সৈন্য আহত হয়েছেন। কাইন চুং গ্রামের একটি সীমান্ত পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ইরাওয়াদিকে।

বিস্ফোরণটি টেরেনের কাছে ঘটেছে, উপকূলের উত্তরের অংশে মংডু থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে একটি আরাকানি গ্রাম। পুলিশ কর্মকর্তার মতে, ৬জন সেনা কর্মকর্তা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এবং সেনাবাহিনীতে চিকিৎসার জন্য মংডাউতে একটি বেসামরিক গাড়ির ভেতরে যাচ্ছিলেন। পুলিশ কর্মকর্তা সৈনিকদের রেজিমেন্টকে চিহ্নিত করতে পারেনি।

গাড়িটি প্রায় ১০.৩০ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে টেরেমানের পাশে গিয়ে পৌঁছায়, এটি একটি দূরবর্তী বিস্ফোরণে ভূমিকম্প হতে দেখা যাচ্ছিল, যা ছয় সৈন্য এবং বেসামরিক ড্রাইভারের জন্য ছোটখাট আঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিস্ফোরণে অসুস্থ অফিসার আহত হননি।

বিস্ফোরণের পর গাড়িটি বন্দুকধারীদের কাছ থেকে আক্রমণের মুখে আসেন, যা দৃশ্যত একটি কাছাকাছি পাহাড়ে অবস্থান করছিল, কিন্তু যাত্রীরা আরও আঘাত পেতে পালিয়ে যায়। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) বা আরাকানের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামলা চালায় কিনা তা স্পষ্ট নয়।

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, একটি রকেট-চালিত গ্রেনেড (আরপিজি) এর পরিবর্তে দূরবর্তী নিয়ন্ত্রিত ভূমিমাঞ্চলের দোষের কারণ হতে পারে। “এটি একটি RPG ছিল, গাড়ির বিট যাও ফুঁ করা হবে। আমি নিশ্চিত যে এটি একটি ল্যান্ডমাইন আক্রমণ ছিল।

তিনি ধারণা করেন যে আরাকানিজ গ্রামের কাছে আক্রমণের অবস্থান দেওয়া এবং ARSA সাধারণত রাতে আক্রমণ করে, ARSA জঙ্গীদের পরিবর্তে আরাকানের সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলাটি কাজ করে। নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত দৃশ্যের উপর ছিল এবং হামলাকারীদের একটি শাখা ১ পিএম দ্বারা পরিচালিত ছিল।

২৮ শে ডিসেম্বরে, একটি মুসলিম গ্রামের কাছে মাছ ধরার সময় মারেটে আক্রমণে আরাকানের একজন অধিবাসী নিহত হন। কর্তৃপক্ষ এখনও যে আক্রমণে সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করতে। ডিসেম্বরের প্রথমদিকে, রাখাইন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ন্যৌ পু’র বাহিনী দ্বারা গৃহীত হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে অ্যান-মাইবেবন হাইওয়েতে একটি খনি বিস্ফোরিত হয়। একটি সেনা ট্রাক আঘাত এবং চার সৈন্য আহত হয়েছে।

সূত্র: The Irrawaddy