রাঙামাটিতে জেএসএসের ডাকে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও নৌ-পথ অবরোধ পালিত

অবরোধস্টাফ রিপোর্টার:

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও সাবেক শান্তিবাহিনীর নেতা জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা ঘোষিত ১ জানুয়ারি থেকে অসহযোগ আন্দোলনের অংশ ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের অভিযোগে সংগঠনটির ডাকে রাঙামাটি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও নৌ-পথ অবরোধ পালিত হয়েছে।

রবিবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয় অবরোধ কর্মসূচী। শহরের বনরূপা, ভেদভেদী, কল্যাণপুরসহ বেশ কয়েকটি সড়কে পিকেটিং করে জেএসএস নেতাকর্মীরা। রিক্সা বিহীন শহরের সিএনজি ও মোটরসাইকেলসহ বন্ধ ছিল সব ধরনের যানবাহন। ফলে বিপাকে পরে অফিসগামী কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সাধরাণ মানুষ। প্রায় পায়ে হেঁটে গন্তবে পৌছাতে হয় তাদের।

অবরোধের কারণে রাঙামাটির সকল সড়ক ও নৌ পথে অভ্যন্তরীন ও দুর পাল্লার যান চলাচল বন্ধ থাকলেও অফিস আদালতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। তবে অবরোধে শুধুমাত্র এ্যাম্বুলেন্স, জরুরী বিদ্যুৎ সরবরাহ ও পৌরসভার আবর্জনা গাড়ী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যান অবরোধের আওতামুক্ত রাখা হয়। নাশকড়া এড়াতে শহরে বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত পুলিশ।

রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মো: সাঈদ তারিকুল হাসান জানান, অবরোধ চলাকালে কোথাও কোন নাশকতামুলক কর্মকান্ডের খবর পাওয়া যায়নি। রাঙামাটির আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল।

বিকাল ৪টায় অবরোধ শেষে শহরের বনরূপা পেট্রোল পাম্প চত্বরে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতির নেতা কর্মীরা।

প্রসঙ্গ, ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, চরম অনিয়ম ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বমূলক ভূমিকার অভিযোগ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে জুম্ম জনগণের চলমান অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাঙামাটিতে অবরোধ কর্মসূচির পালন করা হয়ছে।

এদিকে, পার্বত্য জনসংহতি সমিতি এক বিবৃতিতে অবরোধ সফল ও শান্তিপূর্ণভাবে পালন করায় রাঙামাটিবাসীর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন