রাঙামাটিতে ভিজিএফ’র ৩ হাজার ৩৮৭ কেজি খয়রাতি চাউলসহ এক আটক

আলমগীর মানিক, রাঙামাটি:
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সরকার প্রতিবারই অসহায়, গরীব ও দুঃস্থদের মাঝে বিশেষ কর্মসুচির আওতায় ভিজিএফের চাউল বিতরণ করার জন্য দেশের প্রায় প্রতিটি ইউপিতে গতানুগতিকভাবে বরাদ্ধ প্রদান করে থাকে। কিন্তু কিছু অসাধু জনপ্রতিনিধির লোলুপ দৃষ্টির কারনে সুবিধাভোগিরা এর সুফল পায়না অধিকাংশ সময়। এরই ধারাবাহিকতায় দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করার জন্য প্রদত্ত ভিজিএফ কর্মসুচির আওতায় প্রাপ্ত চাউল গরীব, দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ না করে কালো বাজারে বিক্রি করার সময় ৩ হাজার ৩৮৭ কেজি চাউল আটক করেছে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাঙামাটি শহরের তবলছড়িতে চট্টমেট্রো ন- ১১-২৪৩০, ঢাকা মেট্রো ন- ১১-৩৪১১ ও ঢাকা মেট্রো ন- ১১-৩৮৬৭ নাম্বারের তিনটি মিনি ট্রাকে করে এনে ব্যবসায়িদের কাছে বিক্রির সময় এই খয়রাতি চাউল আটক করে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। এসময় চাউল গুলোর মালিক দাবিদার পলাশ চাকমা (৪০) নামে এক ব্যক্তিকেও আটক করা হয়েছে। পরে গাড়ি ভর্তি চাউলসহ আটককৃত পলাশ চাকমাকে কোতয়ালী থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। আটককৃত পলাশ চাকমার কাছ থেকে প্রাপ্ত কাগজপত্রে দেখা গেছে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে গরীব, দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করার জন্য এই চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা জেলা প্রশাসক স্বারক নাম্বার-৫৯৮ এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বারক নাম্বার-৭০৬ তারিখ ৭/১০/১৩ ইং।

আটককৃত পলাশ চাকমা নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, আমি টাকা দিয়ে চেয়ারম্যানের কাছ থেকে চাউলগুলো কিনে নিয়েছি। আর চেয়ারম্যানই আমাকে জানিয়েছেন যে, সুবিধাভোগীরাই এগুলো বিক্রি করে দিয়েছে।
এদিকে মগবান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা দাবি করেন, এই চাউল গুলো তিনি অত্মসাৎ করেননি। তার ইউপির অধীনস্থ মানিকছড়ি এলাকার তিনটি ওয়ার্ডের ৩ শ ৩৯ জন সুবিধাভোগি স্থানীয় একটি মডেল হাই স্কুলের শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার জন্য এই চাউল গুলো বিক্রি করে দিয়েছেন। তাই স্থানীয় ব্যবসায়ি পলাশ চাকমা এ চাউল গুলো কিনে বিক্রির উদ্যোশে নিয়ে যায়। এদিকে তিনটি মিনি ট্রাকভর্তি চাউলগুলোসহ আটককৃত পলাশ চাকমাকে কোতয়ালী থানায় সোপর্দ করে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।