রাঙামাটির কাউখালীতে শোক দিবসের অনুষ্ঠান পরিণত হল ভোট প্রার্থনার অনুষ্ঠানে
আলমগীর মানিক,রাঙামাটি:
কাউখালীতে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান পরিণত হল পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের ভোট প্রার্থনার অনুষ্ঠানে। কাউখালীতে আয়োজিত বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৮তম শাহাদৎ বার্ষিকীতে সব বক্তাই শোক দিবসের আলোচনার পরিবর্তে ভোট প্রার্থনা শুরু করেন। বৃহস্পতিবার সকালে কাউখালী উপজেলা পরিষদ মাঠে জাতিয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় এমন ঘটনা ঘটে।
এছাড়া দিবসটি রাষ্ট্রি মর্যাদায় পালন করার কথা থাকলেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন কর্মসূচী চোখে পড়েনি।কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অংগসংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেছে। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও কাঙ্গালী ভোজ। এছাড়াও উপজেলা শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত হয় রচনা প্রতিযোগীতা। এছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠিানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অংসুইপ্রু মারমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার (এমপি)। বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ রুহুল আমীন, উপজেলা আওয়ালীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ সরকার, সিনিয়র সহসভাপতি এস.এম. চৌধুরী, সহ-সভাপতি ক্যজাই মারমা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, সামছুদ্দোহা চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সফি, ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক থুইমং মারমা, মুক্তিযোদ্ধা কালা মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা নব কুমার তংচংগ্যা, ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ হায়দার প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মোঃ হাবিব।
প্রধান অতিথি বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে শেখ মুজিবের জন্ম হয়েছে বলে আমরা আজ বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি দেশের অস্তিত্ব খুজে পাচ্ছি। যে মানুষ এদেশের আপামর জনগনকে নিয়ে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন সে মানুষকে পরিবারের আরো সদস্য সহ নির্মমভাবে ঘাতকদের হাতে প্রান দিতে হলো। ১৯৭৫ সালের এইদিনের কালরাত্রিতে ঘটেছিল ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক ঘটনা। কিছু উচ্ছৃংখল ও বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে সপরিবারে প্রাণ দিয়েছিলেন বাঙ্গালির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তান, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সমাবেশে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে জন সংহতি সমিতি ও বাঙ্গালী সংগঠনগুলো আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে দলের নেতা কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান।