রামগড়ের প্রবাসী যুবক ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত

fec-image

ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় মো. মোশাররফ হোসেন (২৬) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার রামগড় পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের ভৃগুরামপাড়া স্কুলটিলা এলাকায়। তিনি ঐ গ্রামের আবু তৈয়বের ছেলে।

বুধবার (২৮ জুন) স্থানীয় সময় রাত ১০ টার দিকে ওমানের সালালাহ বিমান বন্দর সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সন্ধ্যায় রামগড় পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী আবুল বশর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

পরিবারের বরাত দিয়ে পৌর কাউন্সিলর জানান, যাত্রী আনার জন্য সালালাহ বিমান বন্দরে যাওয়ার পথে ওয়াটিনাইট নামক স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার প্রাইভেট কারটি রাস্তার বাইরে গিয়ে স্ট্রীট লাইট পোস্টের সাথে ধাক্কা খায়। এতে তিনি মারা যান। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

পৌর কাউন্সিলর আরও বলেন, নিহত মোশাররফ ৭ বছর আগে ওমানে যান। সেখানে একটি কোম্পানিতে বেলা ১২ টা পর্যন্ত ডিউটি করার পর বাকী সময় নিজস্ব প্রাইভেট কারে যাত্রী পরিবহণ করতেন। ওমানে তার মেঝ ভাইও থাকেন।

তিনি আরও বলেন, ২-৩ মাস পর সে দেশে এসে বিয়ে করার কথা ছিল। সেজন্য তার বাবা-মা পাত্রী দেখাসহ প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। কৃষি শ্রমিক পিতা কস্টার্জিত টাকায় প্রথমে মেঝ ছেলেকে ওমানে পাঠানোর পর ওই মেঝ ভাই পরে মোশাররফকেও ওই দেশে নিয়ে যায়। দুই ছেলের উপার্জনে দরিদ্র পরিবারটি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছিল।

শুক্রবার বিকালে নিহত মোশাররফের বাড়িতে গিয়ে শোকের মাতম দেখেছেন বলে জানান কাউন্সিলর আবুল বশর। তিনি বলেন, ঈদের আগের দিন রাতে ছেলের মৃত্যুর খবরে তাদের ঈদ কেটেছে শোক- আর্তনাথ।

এলাকার লোকজন সান্ত্বনা দেয়ার চেস্টা করছেন। কিন্তু তরুণ টগবগে ছেলের এমন মৃত্যুর শোক কিছুতেই সইতে পারছেনা পরিবারের সদস্যরা।

পৌরসভার কাউন্সিলর কাজী আবুল বশর জানান, নিহত মোশাররফের মরদেহ দেশে আনার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ওমান দূতাবাসে আবেদন করা হয়েছে। ৬-৭ দিন পর মরদেহ দেশে পৌঁছবে বলে তাদের জানানো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন