রামগড়ে শত বছরের প্রাচীন এসডিও বাংলো সংরক্ষণের উদ্যোগ

fec-image

রামগড়ে দীর্ঘ প্রায় একশ বছরের প্রাচীন এসডিও বাংলোটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের অর্থায়নে বাংলোটির প্রয়োজনীয় সংস্কারসহ সৌন্দর্যবর্ধনমূলক বিভিন্ন কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সোমবার(৪ এপ্রিল) উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারি সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দোকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত ছাড়াও রামগড় পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলম কামাল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার ফারুক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তফা হোনেন, সাধারণ সম্পাদক ও পাতাছড়া ইউপি চেযারম্যান কাজী নুরুল আলম, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মফিজুর রহমান, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসডিও বাংলোর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস সংবলিত বিশাল বিলবোর্ড স্থাপন করা হয় বাংলোর প্রবেশ দ্বারে। উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারি বলেন, ঐতিহাসিক নির্দশন এসডিও বাংলোটি মহান মুক্তিযুদ্ধেরও বহু স্মৃতি ধারণ করে আছে। ১৯৭১ সালে চট্টগ্রাম পতনের পর কালুরঘাটের স্বাধীন বাংলার বেতার কেন্দ্রটি রামগড়ের এ এসডিও বাংলোতে এনে স্থাপন করা হয়। রামগড় পতনের পূর্ব পর্যন্ত এখান থেকে স্বাধিন বাংলার অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়। রামগড় উপজেলা নির্বাহি অফিসার খন্দোকার মো: ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত বলেন, বাঙ্গামাটি পতনের পর পাবর্ত্য চট্টগ্রাম জেলা সদর রাঙ্গামাটি থেকে রামগড়ে স্থানান্তরিত করে এখান থেকে স্বাধিনবাংলা সরকারের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব এইচটি ইমাম রামগড়ের এসডিও বাংলোতে অবস্থান করে স্বাধীন বাংলা সরকারের প্রশাসিনক কার্যক্রম চালাতেন। তিনি বলেন, ইতিহাস ঐতিহ্যের নির্দশন এসডিও বাংলোটি জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সংরক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সংস্কারেরর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, পর্যটকরা যেন বেড়াতে এসে এই ইতিহাস জানতে পারে সেজন্য বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।

এদিকে, এসডিও বাংলোর প্রবেশদ্বারে বিলবোর্ড স্থাপনে বিজিবির পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়। এনিয়ে উপস্থিত সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে বিজিবি সদস্যদের বাকবিতণ্ডতাও হয়। এক পর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা ক্যাম্পে ফিরে যায়।

উল্লেখ্য, ১৯২০ সালে রামগড়কে মহকুমায় রুপান্তরের পর ওই সময়ে সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর কূল ঘেঁষে তৎকালীন বৃটিশ সরকার মহকুমা প্রশাসকের জন্য বাংলোটি নির্মাণ করে। আশির দশকে মহকুমা বিলুপ্ত হওয়ার পর বাংলোটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। বর্তমানে বাংলোটি দুটি সরকারি বিভাগের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন