রামগড় রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতিকে প্রাণনাশের হুমকি, সাংবাদিকদের উদ্বেগ

fec-image

খাগড়াছড়ির রামগড় রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাংবাদিক ও রামগড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. বাহার উদ্দিনকে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে ফারুক প্রকাশ বোশকা ফারুক নামে এক যুবক।

সাংবাদিক বাহার উদ্দিন দৈনিক বিজনেস বাংলাদেশ ও অনলাইন নিউজ ৭১’র রামগড় উপজেলা প্রতিনিধি। তিনি অভিযোগ করেন, শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) রাতে তাঁদের পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শাহীন লাইব্রেরিতে আকস্মিকভাবে এসে ফারুক প্রকাশ বোশকা ফারুক তাঁর ওপর চড়াও হয়। সে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। এক পর্যায়ে সাংবাদিক বাহার উদ্দিনের ওপর আক্রমণ করার চেষ্টা করে। এসময় উচ্ছৃঙ্খল ওই যুবক হত্যার হুমকি দেয়।

লাইব্রেরির সিসিটিভির ফুটেজে বোশকা ফারুকের আক্রমণাত্মক ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণের দৃশ্য ধারণ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এর আগে বোশকা ফারুক স্থানীয় আরেকজন সাংবাদিককেও মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়। সে রামগড় পৌরসভার দারোগাপাড়ার মৃত জাফরের ছেলে।

সাংবাদিক বাহার উদ্দিন বলেন, ‘বোশকা ফারুক উত্তেজিত হয়ে আমাকে বলতে খাকে তুই মামা’র সাথে বাড়াবাড়ি করতেছস, এর মাসুল তুই পাবি।’

তিনি বলেন, ‘তার এমন কথায় ধারণা করছি, কারও প্ররোচণায় সে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

এদিকে, এ ঘটনার পর শুক্রবার রাতেই জীবনের নিরাপত্তাসহ আইনগত সহায়তার জন্য রামগড় রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ ও সিনিয়র সাংবাদিকগণ রামগড় থানায় গিয়ে অফিসার্স ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। অফিসার্স ইনচার্জের পরামর্শে এ ব্যাপারে তিনি থানায় লিখিতভাবে অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন।

রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রতন বৈষ্ণব বলেন, প্রতিষ্ঠানে এসে এভাবে প্রকাশ্যে সাংবাদিক ও শিক্ষক বাহার উদ্দিনকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার ঘটনা সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে অবগত করা হয়েছে।

এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে ও হুমকিদাতা বোশকা ফারুককে গ্রেফতাবের দাবিতে রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে শুক্রবার রাতে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সাংবাদিক বাহার উদ্দিনের প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এর কঠোর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়। এছাড়া হুমকিদাতা বোশকা ফারুককে অবিলম্বে গ্রেফতার ও সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানানো হয়।

এ ব্যাপারে রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন বলেন, ‘সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানার অফিসার ইনটার্জকে বলেছি।’

রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন