রামুতে নারী দিবসে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ: চেয়ারম্যানের অপরাগতা প্রকাশ
রামুতে নারী দিবসে ধর্ষণের শিকার হলো চতুর্থ শ্রেণী পড়ুয়া ছাত্রী। রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ভিলেজারপাড়া এলাকায় রবিবার (৮ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বাড়ির কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ভিলেজারপাড়া এলাকায়। সে কাউয়ারখোপ মৈষকুম ওসমান সরওয়ার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী।
মেয়েটির বাবা-মা জানান, রবিবার বেলা ১২ টার দিকে তাদের মেয়ে পার্শ্ববর্তী ছড়া থেকে কলসী করে পানি এনে গরুকে খাওয়াচ্ছিল।
এক পর্যায়ে কাউয়ারখোপ পূর্বপাড়া এলাকার মৃত ইয়াছিনের ছেলে জসীমুদ্দিন বাবুল (৩৬) ও মো. হোছন প্রকাশ লেইঙ্গা হোছনের ছেলে ও তার সহযোগি আবদুল নুর মেয়েটিকে মুখে কাপড় দিয়ে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়।
সেখানে জসীমুদ্দিন বাবুল মেয়েটির পরনের কাপড় ছিড়ে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে কামড় দিয়ে রক্তাক্ত করে এবং এক পর্যায়ে মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের পর জসীম উদ্দিন বাবুল ও আবদুল নুর মেয়েটিকে এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং হাতে ২০ টাকা গুজে দেয়।
মেয়েটি টাকা ফেলে বাড়িতে চলে আসে। ভয়ভীতির কারনে দু‘দিনেও এ ঘটনার বাবা-মাকে বলেনি। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে মেয়েটির ব্যথায় কাতরাতে শুরু করলে সে বাবা-মাকে পুরো বিষয় খুলে বলে।
মেয়েটির বাবা মা মঙ্গলবার বিষয়টি কাউয়ারখোপ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদকে অবহিত করেন। কিন্তু চেয়ারম্যান এ ব্যাপারের কিছুই করতে পারবে না বলে জানালে তারা হতাশ হয়ে পড়েন। মেয়েটির বাবা মা এ ব্যাপারে আইনী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
মৈষকুম ওসমান সরওয়ার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা জানিয়েছেন, মেয়েটির বাবা-মা স্কুল কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি জানিয়েছেন। এ ঘটনা খুবই দুঃখজনক।
রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সরওয়ার উদ্দিন জানান, গুরুত্ব সহকারে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল খায়ের জানিয়েছেন, ধর্ষিতা ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বুধবার থানায় এসেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।