রামুতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩টি দোকান ভস্মিভূত, কিশোর দগ্ধ

fec-image

কক্সবাজারের রামুতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩টি দোকান ভস্মিভূত হয়েছে। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ একজনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বেলা ২টায় রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের পাঞ্জেখানা বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

অগ্নিদগ্ধ শফিউল আলম (১৬) ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের দক্ষিণ দ্বীপ ফতেখাঁরকুল গ্রামের ইবনে আমিনের ছেলে। এ অগ্নিকাণ্ডে ৩টি দোকান মালিকের ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে ভস্মিভূত দোকানগুলো হলো- অগ্নিদগ্ধ শফিউল আলমের বড় ভাই নবীউল হাসান কাজলের গ্যাস সিলিন্ডার ও চুলার দোকান, জসিম উদ্দিনের মালিকানাধীন মুদির দোকান সাইফ স্টোর ও বেদারুল আলমের কলার আড়ৎ।

জানা গেছে- শফিউল আলম দোকানে চুলা মেরামত করছিলেন। এসময় সিলিন্ডারের পাইপ ফেটে বিস্ফোরণে শফিউল আলমের শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। পাইপ বিস্ফোরণে সৃষ্ট আগুনে দোকানে থাকার সিলিন্ডারগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এসময় একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণের বিকট শব্দে পুরো বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একাধিক সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ফলে এ দোকান ছাড়াও পাশ্ববর্তী জসিম উদ্দিন ও বেদারুল আলমের দোকানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

সাইফ স্টোরের মালিক জসিম উদ্দিন জানান, নবীউল হাসান কাজলের গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানে বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ শুরু হয়। সাথে সাথে তিনি আতঙ্কে দোকান থেকে সটকে পড়েন। এর পরপরই ৩টি দোকানে আগুন ধরে যায়।

খবর পেয়ে রামু ফায়ার সার্ভিসের দমকল কর্মী, বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে ১ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ফোন করার পরও ফায়ার সার্ভিসের দমকল কর্মীরা যথাসময়ে আসেনি। দ্রুত আসলে ক্ষয়ক্ষতি আরও কম হতো।

এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ শফিউল আলমকে মুমূর্ষু অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চিকিৎসকরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। বৃহস্পতিবার রাতেই তাকে চমেক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জানান স্থানীয় সংবাদকর্মী নুরুল হক সিকদার।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন জানান, এ অগ্নিকাণ্ডে তার দোকানের ৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে নবীউল হাসান কাজলের গ্যাস সিলিন্ডার ও চুলার দোকানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থলে যান রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন