রামুর ৮ বসতবাড়ি ও সড়কে ডাকাতি: অপহৃত ৩, জনমনে চরম আতংক

fec-image

ডাকাতি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজারের রামু উপজেলার ঈদগড়ে ৮ বসতবাড়ি এবং ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। সড়কে ডাকাতির পাশাপাশি শসস্ত্র সন্ত্রাসীরা যাত্রীবাহি বাসের ৩ জন যাত্রীকে অপহরণ করেছে। বসত বাড়িতে ডাকাতি চলাকালে ডাকাতের গুলিতে ১ জন আহত হয়েছে। বেশ কিছুদিন শান্ত থাকার পর ফের বড় ধরনের ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনায় এলাকার জনমনে চরম আতংক বিরাজ করছে।

ঈদগড় ইউনিয়নের ঘিলাতলি গ্রামের রুহুল আমিন, শাহ আলম ও জালাল আহমদের বাড়িতে সোমবার রাত দশটার দিকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। শসস্ত্র ডাকাতদল এ তিনটি বাড়ির দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্ররেশ করে বাড়ির সদস্যদের মারধর করে ব্যাপক লুটপাট চালায়। ডাকাতি চলাকালে ঘিলাতলি গ্রামের মৃত নাজির হোসনের পুত্র শাহ আলম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় ডাকাতরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে শাহ আলম গুলিবিদ্ধ হন। একই রাত সাড়ে ৩ টায় ঈদগড় ক্যাম্পচর গ্রামের আমির হোছন নুরুল আজিম ও পুর্ণগ্রামের ছৈয়দ আলম সোনা মিয়া ও গুরা মিয়ার বাড়ীতে ডাকতি সংঘটিত করে।

এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টায় ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের ধুমছাকাটা এলাকায় ঈদগড়মুখি হিললাইন (কক্সবাজার ছ-১১-০১০৬) মিনিবাস থামিয়ে যাত্রীদের সর্বস্ব লুট করে ডাকাতদল। লুটপাট শেষে ডাকাতরা ওই বাসের তিন যাত্রীকে অপহরণ করে। অপহৃতরা হলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারী এলাকার মাস্টার মোতাহার আহমদের পুত্র মোহাম্মদ রাশেদ, মোবাইল সামগ্রী বিক্রেতা নেজাম উদ্দিন ও ঈদগড় কাটাজঙ্গল গ্রামের মৌলানা হাবিবুর রহমান।

বাসটির চালক মোহাম্মদ জানিয়েছেন, ডাকাত দলের সদস্য ১৬/১৮ জন হবে। এরমধ্যে কয়েকজনের হতে হাতে লম্বা বন্দুক ও ধারালো অস্ত্র ছিলো ছিল।

ঈদগড় ক্যাম্পের আইসি ফিরোজ জানান, ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে এবং অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশ ও জনতার অভিযান চলছে।

জানা গেছে, পুলিশী তৎপরতায দীর্ঘ দিন ঈদগড় এলাকায় ডাকাতি-অপহরণের ঘটনা ঘটেনি। এখন আসন্ন ঈদুল আযহাকে ঈদকে সামনে রেখে ডাকাত দল আবারো সংঘটিত হয়ে ডাকাতি অপহরণ শুরু করেছে। এ কারনে ঈদগড়বাসী এখন চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন