রোহিঙ্গাদের মুখ থেকে নির্যাতনের কথা শুনলেন ওআইসির মহাসচিব


উখিয়া প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ সফরত ওআইসির মহাসচিব ড. ইউসেফ বিন আহমাদ আল-ওসাইমিন শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।

পরিদর্শন কালে তিনি মায়ানমারের সেনা বাহিনীর হাতে নির্যাতিত, নিপীড়ত রোহিঙ্গাদের মুখ থেকে অমানবিক, পাশবিক ও নিশংস হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা শুনেছেন।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার বিমান বন্দর থেকে গাড়ি যোগে ওআইসির মহাসচিব ড. ইউসেফ বিন আহমাদ সরাসরি উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পে পরিদর্শনে আসেন। প্রায় দের ঘন্টার অধিক সময় ওআইসির মহাসচিব ক্যাম্প পরিদর্শন ও রোহিঙ্গা নারী পুরুষদের সাথে কথা বলেন।

আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) পরিচালিত একটি স্কুলে ১৭ জন নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সাথে মিলিত হন। সেখানে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা মায়ানমারের সেনা বাহিনীর হাতে গণ ধর্ষন, হত্যা, অপহরণ, বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগসহ নিশংস পৈশাসিক ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন। রোহিঙ্গা নর নারীদের নির্যাতনের কাহিনী ধর্য্য সহকারে প্রায় ৩০মিনিট শুনেন ওআইসির মহাসচিব।

পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার ইকবাল হোছাইন, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া র্সাকেল) চাউলাউ মারমা, কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. শামশুদ্দোহা, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের সহ বিদেশী দাতা সংস্থা প্রতিনিধিগণ।

রোহিঙ্গ ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংকালে ওআইসির মহাসচিব রোহিঙ্গা সমস্যা একটি আর্ন্তজাতিক ইস্যু। বিষয়টি জাতিসংঘ এবং আর্ন্তজাতিক ফোরামে তোলে ধরা হবে। তিনি বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মানব অধিকার সুরক্ষা, তাদের বসবাসের বাসস্থান, খাদ্য-চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে বৈশ্বিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আর্ন্তজাতিক রাষ্ট্রসমুহ সহ রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সংগঠন, মানবাধিকার সংস্থা ভূমিকার কথা গুরুত্বারোপ করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ওআইসির মহাসচিব ড. ইউসেফ বিন আহমাদ আল-ওসাইমিন রোহিঙ্গাদের পাশে থাকার কথা উল্লেখ করে বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধান ও তাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া মাধ্যমে নাগরিকত্ব ফিরে দেওয়ার জন্য মায়ানমার সরকারের প্রতি আহবান জানান। তিনি এও বলেন, রোহিঙ্গাদের কে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন