লক্ষ্মীছড়িতে রাজনৈতিক মামলা: ২ বছর শুনানীর পর বিএনপির সভাপতি সম্পাদকসহ ৪জন বেখসুর খালাস

লক্ষ্মীছড়ি প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় আওয়ামীলীগের দেয়া মামলায় ২বছর শুনানীর পর বিজ্ঞ আদালত আসামীদের বেখসুর খালাস দিয়েছে বলে জানা গেছে। ২ মার্চ বুধবার বাদী ও বিবাদীর বক্তব্য শুনে আদালত এ রায় দেন। আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন এডভোকেট আব্দুল মালেক মিন্টু।

বিবরণে প্রকাশ, ২০১২ইং ২৬ মার্চ সকালে বিএনপির স্বাধীনতা দিবসের র‌্যালি বের করলে পেছন থেকে দুবৃত্তরা হামলা করে। এ ঘটনায় উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে অণিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ বিএনপির দেয়া অভিযোগ গ্রহণ না করে যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেন এর অভিযোগটি গ্রহণ করে বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের ২১জন নেতা কমীর বিরদ্ধে মামলা নেয়। এর পর পুলিশ ফাইনাল চার্জ শীট দেয়। কয়েক মাস শুনানীর পর আদালত অধিকতর শুনানীর জন্য ৪ জনকে রেখে বাকী ১৭ জনকে বেখসুর খালাস দেয়। এর পর দীর্ঘ দিন বাদী ও স্বাক্ষীগণ নিয়মিত হাজির না থাকায় বিজ্ঞ আদালত পুলিশকে বাদী ও স্বাক্ষীগণকে হাজির করার নির্দেশন দেন।

বুধবার বাদী ও বিবাদীগনের বক্তব্য শুনে উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো: ফোরকান হাওলাদার, উপজেলা বিএনপি সা: সম্পাদক মো: মোবারক হোসেন,  উপজেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক মো: সুলতান আহমেদ ও ছাত্রদল ইউনিয়ন সভাপতি মো: জাহাঙ্গির আলমকে বিজ্ঞ আদালত বেখসুর খালাস দেয়। মামলার বাকী অভিযুক্তরা ছিলেন, মো: কামাল হোসেন ফারুক, মো: মহসিন মোল্লা, মো: সামশুল ইসলাম, মো: ইউসুফ, আমজাদ হোসেন, মো: আজিজুল হক, আবুল কাশেম, মো: চুন্নু মিয়া, মো: এমাদুল হক, মো: আ: জলিল, মো: ইউসুফ মোল্লা, মো: মকবুল আহমেদ, মো: জলিল মোল্লা, মো: দেলোয়ার হোসেন, মো: শাহজাহান বিশ্বাস, মো: সুলতান, অংশি প্রু মারমা, চাইলা প্রু মারমা ও মো: রেজাউল করিম।

উল্লেখ্য বিগত কয়েক বছরে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ হতে রাজনৈতিক কারণে দ্রুত ট্রাইব্যুনালে মামলাসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আলাদা আলাদা ভাবে অন্তত ৫০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ৭টি হয়রানীমূলক মামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছে উপজেলা বিএনপি।    

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন