লক্ষ্মীছড়িতে স্বামীসহ ৩ জন মিলে ধর্ষণ
মোবারক হোসেন, লক্ষ্মীছড়ি:
খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় স্বামীসহ ৩ জন মিলে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করার মতো নেক্কারজনক ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৬ এপ্রিল এ ঘটনা ঘটলেও এখনো পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। বিষয়টি সামাজিকভাবে মিমাংশার জন্য বারবার দেন-দরবার চালিয়ে যাচ্ছে কতিপয় গ্রাম্য মাতব্বর।
খবরে প্রকাশ, গত ২৬ এপ্রিল মহিষকাটা এলাকার মো: শাহজাহান বিশ্বাসের ছেলে মো: মমিন উদ্দিন স্ত্রী নারগিস আক্তারকে চট্টগ্রাম থেকে জরুরি ভিত্তিতে বাড়িতে আসার জন্য মোবাইলে খবর দেয়। নারগিস আক্তার কর্মস্থল থেকে বিকেল বেলায় রওনা দিয়ে সন্ধ্যার কিছু পর ফটিকছড়িতে এসে পৌঁছে। মোটরসাইকেলযোগে সমুড় পাড়া ভাণ্ডার শরীফ খামার বাড়ি নির্জন এলাকায় গভীর রাতে আসার পর জোরপূর্বক পেয়ারা বাগানের দিকে নিয়ে যায় এবং মুখ বেঁধে পালাক্রমে প্রথমে স্বামী মমিন উদ্দিন, পরে নাজেম জমাদ্দার’র ছেলে আব্দুল কুদ্দুস(২৮) ও সব শেষে আস্তফা মোল্লার ছেলে মো: ফারুক হোসেন(২২) পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পরে ওই রাতেই বাড়ি না এনে নারগিস আক্তারকে মুমূর্ষু অবস্থায় ফটিকছড়ি একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়। কিছুটা সুস্থ্য হয়ে মাহিষকাটা এলাকায় আসলে এ ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়।
এই নিয়ে গত ১৫ মে সন্ধ্যায় একটি গ্রাম্য শালিস বসলেও বিচারে মোমিন উদ্দিন অনুপস্থিত থাকায় কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ করা হয়। তবে বেঠকে ফারুক হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক লিখিত বক্তব্য দেয় উপস্থিত সকলের কাছে।
জানা যায়, কুদ্দুসও এ গ্রাম্য শালিসে উপস্থিত ছিলেন। এই নিয়ে আরো ছোট-খাঁট দেন-দরবার চলছে বলে জানা গেছে। তবে প্রভাশালী মহল পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীছড়ি থানার এস.আই রমজান আলী এ প্রতিনিধিকে বলেন, ঘটনাটি শুনেছি কিন্তু এখনো পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। যদি অভিযোগ আসে তবে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২ বছর আগে বাঁশখালীর মেয়ে নারগিস আক্তারের সাথে মোমিন উদ্দিন শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।