শেষ মুহূর্তের গোলে নাটকীয় জয় লিভারপুলের

fec-image

অ্যানফিল্ডে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে শেষ মুহূর্তের গোলে নাটকীয় জয় পেয়েছে লিভারপুল। আয়াক্সের বিপক্ষে তারা ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।

প্রথম ম্যাচ হারার পর এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপুটে ফুটবল খেলে এবং প্রথমে এগিয়ে যাওয়ার পরও পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় পড়েছিল লিভারপুল। মরিয়া চেষ্টার ফল মিলল শেষ সময়ে গিয়ে। জোয়েল মাতিপের হেডে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম জয় নিশ্চিত করে ইংলিশ ক্লাবটি।

ম্যাচে প্রথম লিড পায় স্বাগতিকরা। ম্যাচের ১৭তম মিনিটে দিয়াগো জোটার পাস থেকে গোল করে লিভারপুলকে ১-০ গোলে এগিয়ে নেন মোহাম্মদ সালাহ। জোটার পাস ডি-বক্সে প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিখুঁত শটে আয়াক্স গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মিশরের এই ফরোয়ার্ড।

পরের সাত মিনিটে আরো দুটি ভালো সুযোগ তৈরি করলেও ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারেনি লিভারপুল। ২২তম মিনিটে লুইজ দিয়াসের শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।

ম্যাচের ২৭তম মিনিটে স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে সমতায় ফেরে আয়াক্স। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো পাস ফাঁকায় পেয়ে বুলেট গতির শট নেন ঘানার ফরোয়ার্ড মোহাম্মাদ কুদুস। বল ক্রসবারের লেগে জালে জড়ায়।

৩৫তম মিনিটে আবারো এগিয়ে যেতে পারত লিভারপুল। তবে ভার্জিল ফন ডাইকের হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক রেমকো পাসফির। সাত মিনিট পর ডাবল সেভে আবারো দলকে বাঁচান তিনি। দুরূহ কোণ থেকে ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-অর্নল্ডের প্রথম শট বুক দিয়ে ঠেকানোর পর তারই দ্বিতীয় প্রচেষ্টা কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান পাসফির। ১-১ সমতায় প্রথমার্ধ শেষ করে দু’দল

বিরতির পরও একইভাবে বল দখলে রেখে আক্রমণ করতে থাকে লিভারপুল। কিন্তু অসংখ্য সুযোগ তৈরি করেও জালের দেখা আর পাচ্ছিল না স্বাগতিকরা। বাড়ছিল দুশ্চিন্তা। একসময় মনে হচ্ছিল অমীমাংসিতভাবে খেলা সমাপ্ত হবে।

ম্যাচে ৮৯তম মিনিটে দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান মাতিপ। বা প্রান্ত থেকে সিমিকাসের ক্রস মাতিপ হেড করেন আয়াক্সের গোল পোস্ট লক্ষ্য করে, পাল্টা হেডে গোল ফিরিয়ে দিয়েছিলেন দুসান তাদিস। তবে তার আগেই বল চলে যায় গোললাইন পেরিয়ে, রেফারি বাজান গোলের বাঁশি। অ্যানফিল্ডে আনন্দের জোয়ার বইয়ে দেওয়া ওই গোলেই লিভারপুলের ২-১ গোলের জয় নিশ্চিত করেন মাতিপ।

আক্রমণের বিচারে ম্যাচ কতটা একপেশে ছিল তার প্রমাণ মেলে পরিসংখ্যানে। লিভারপুল মোট গোলের উদ্দেশ্যে শট নেয় ২৪টি, যার মধ্যে লক্ষ্যে ১০টি। আর আয়াক্স নিতে পারে সাকুল্যে তিনটি, লক্ষ্যে ওই একটিই।

দুই ম্যাচে এক জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠেছে লিভারপুল। আয়াক্স ৩ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে।
এক ম্যাচ খেলা নাপোলি ৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে।

‘বি’ গ্রুপে বায়ার লেভারকুসেনের মাঠে ২-০ গোলে হেরেছে গদ আতলেতিকো মাদ্রিদ। এই গ্রুপের আরেক ম্যাচে পোর্তোকে তাদেরই মাঠে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ক্লাব ব্রুগ। দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ব্রুগ। লেভারকুসেন ও আতলেতিকোর পয়েন্ট সমান ৩ করে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: লিভারপুল
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন